হার্ভেস্ট সুপারমুন: ৭ অক্টোবর বাংলাদেশও দেখা মিলবে

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
হার্ভেস্ট সুপারমুন: ৭ অক্টোবর বাংলাদেশও দেখা মিলবে

চাঁদপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর—২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আগামী ৭ অক্টোবর। এই সময় চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে, ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। জ্যোতির্বিদরা এটিকে ‘হার্ভেস্ট মুন’ হিসেবে পরিচিত, যা প্রতি বছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ভেস্ট মুন শারদ বিষুবের সময় ঘটে। বিষুবের সময় সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে, ফলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে। এই সময় উদিত পূর্ণিমার চাঁদ সাধারণের তুলনায় বড়, সোনালি-কমলা রঙের এবং অধিক উজ্জ্বল মনে হয়, বিশেষ করে দিগন্তের কাছে অবস্থান করলে।

সাধারণত পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না, কিন্তু হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ দ্রুত উঠে এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে দৃশ্যমান থাকে। সন্ধ্যার সময় এটি বিশেষভাবে উজ্জ্বল হয়। ‘হার্ভেস্ট মুন’ নামটির পেছনে রয়েছে কৃষক সম্পর্কিত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট; প্রাচীনকালে বিদ্যুৎ না থাকায় ফসল কাটার সময় চাঁদের আলোতে রাতেও কাজ করা যেত।

পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের সুপারমুন সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ১৪% বড় এবং ৩০% উজ্জ্বল দেখাবে। চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩,৬১,৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই সুপারমুন দেখা যাবে। চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকবে, তখন সেটি আরও বড় এবং গাঢ় সোনালি-কমলা রঙের দেখাবে।

সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই এই দৃশ্য উপভোগ করা যাবে, তবে আলোদূষণবিহীন পরিবেশে এটি সবচেয়ে সুন্দর দেখা যায়।

২০২৫ সালে এই বছরের পরপর তিনটি সুপারমুন দেখা যাবে—৭ অক্টোবর, ৫ নভেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হার্ভেস্ট সুপারমুন: ৭ অক্টোবর বাংলাদেশও দেখা মিলবে

হার্ভেস্ট সুপারমুন: ৭ অক্টোবর বাংলাদেশও দেখা মিলবে

চাঁদপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর—২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আগামী ৭ অক্টোবর। এই সময় চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে, ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। জ্যোতির্বিদরা এটিকে ‘হার্ভেস্ট মুন’ হিসেবে পরিচিত, যা প্রতি বছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ভেস্ট মুন শারদ বিষুবের সময় ঘটে। বিষুবের সময় সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে, ফলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে। এই সময় উদিত পূর্ণিমার চাঁদ সাধারণের তুলনায় বড়, সোনালি-কমলা রঙের এবং অধিক উজ্জ্বল মনে হয়, বিশেষ করে দিগন্তের কাছে অবস্থান করলে।

সাধারণত পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না, কিন্তু হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ দ্রুত উঠে এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে দৃশ্যমান থাকে। সন্ধ্যার সময় এটি বিশেষভাবে উজ্জ্বল হয়। ‘হার্ভেস্ট মুন’ নামটির পেছনে রয়েছে কৃষক সম্পর্কিত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট; প্রাচীনকালে বিদ্যুৎ না থাকায় ফসল কাটার সময় চাঁদের আলোতে রাতেও কাজ করা যেত।

পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের সুপারমুন সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ১৪% বড় এবং ৩০% উজ্জ্বল দেখাবে। চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩,৬১,৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই সুপারমুন দেখা যাবে। চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকবে, তখন সেটি আরও বড় এবং গাঢ় সোনালি-কমলা রঙের দেখাবে।

সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই এই দৃশ্য উপভোগ করা যাবে, তবে আলোদূষণবিহীন পরিবেশে এটি সবচেয়ে সুন্দর দেখা যায়।

২০২৫ সালে এই বছরের পরপর তিনটি সুপারমুন দেখা যাবে—৭ অক্টোবর, ৫ নভেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত