ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানোর উপায়

অতিথি লেখক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানোর উপায়
ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানোর উপায়

সম্পর্ক শেষ হওয়া বা ব্রেকআপ জীবনের একটি সাধারণ কিন্তু আবেগিকভাবে কঠিন ঘটনা। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ হয়ে যাওয়া কেবল আবেগ নয়, মানসিক স্থিতিশীলতা, দৈনন্দিন রুটিন এবং আত্মবিশ্বাসের ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্রেকআপের সময় নিজের আবেগকে বোঝা, ধীরে ধীরে মানসিক সামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনা এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কীভাবে ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানো যায় এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা যায়।

১. আবেগকে স্বীকার করা: প্রথম ও প্রধান ধাপ

ব্রেকআপের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নিজের আবেগকে স্বীকার করা। দুঃখ, রাগ, হতাশা, শোক—allই স্বাভাবিক। নিজেকে বোঝানো জরুরি যে এই অনুভূতি স্বাভাবিক এবং সময়ের সঙ্গে এটি কমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবেগকে চাপ দিয়ে লুকিয়ে রাখলে মানসিক চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। তাই নিজের অনুভূতিকে বোঝা ও গ্রহণ করা মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

২. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা

বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কাছের মানুষদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা, অনুভূতি ভাগ করা এবং সমর্থন পাওয়া ব্রেকআপের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সামাজিক সংযোগ ব্যক্তিকে একাকিত্বের অনুভূতি থেকে রক্ষা করে এবং মানসিক শক্তি যোগায়।

৩. নিজের জন্য সময় বের করা

ব্রেকআপের পরে নিজেকে সময় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের ব্যস্ত রুটিনে হালকা ব্যায়াম, ধ্যান, পড়াশোনা, নতুন শখের সঙ্গে যুক্ত হওয়া—এগুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিজের যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখা নিজেকে পুনর্গঠনে সহায়ক।

৪. অতীতকে বারবার মনে না রাখা

প্রাক্তন সম্পর্ক নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা বা স্মৃতি মনে করা মানসিক চাপ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করান, স্মৃতি বা ছবি দেখে নিজেকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। ধীরে ধীরে অতীতকে গ্রহণ করে ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করা মানসিক স্বস্তি দেয়।

৫. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা

সঠিক ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রেকআপের সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত চিনি বা এলকোহল গ্রহণ এড়ানো উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মানসিক চাপ কমাতে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৬. নতুন অভিজ্ঞতা ও শখের সঙ্গে যুক্ত হওয়া

যে কোনো নতুন শখ বা অভিজ্ঞতা ব্যক্তিকে ব্যস্ত রাখে এবং নতুন উদ্দীপনা দেয়। এটি মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে এবং নিজের নতুন দিক আবিষ্কারের সুযোগ দেয়। বই পড়া, শিল্পকর্ম, নতুন ভাষা শেখা, বা যেকোনো সৃজনশীল কাজ ব্রেকআপের শোক কমাতে কার্যকর।

৭. নিজের প্রতি ধৈর্য রাখা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের প্রতি ধৈর্য রাখা। সম্পর্ক শেষ হওয়ার দুঃখ একদিনে কমবে না। নিজেকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে দিন এবং প্রয়োজন হলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানোর উপায়

ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানোর উপায়
ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানোর উপায়

সম্পর্ক শেষ হওয়া বা ব্রেকআপ জীবনের একটি সাধারণ কিন্তু আবেগিকভাবে কঠিন ঘটনা। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ হয়ে যাওয়া কেবল আবেগ নয়, মানসিক স্থিতিশীলতা, দৈনন্দিন রুটিন এবং আত্মবিশ্বাসের ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্রেকআপের সময় নিজের আবেগকে বোঝা, ধীরে ধীরে মানসিক সামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনা এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কীভাবে ব্রেকআপের পরে নিজেকে সামলানো যায় এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা যায়।

১. আবেগকে স্বীকার করা: প্রথম ও প্রধান ধাপ

ব্রেকআপের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নিজের আবেগকে স্বীকার করা। দুঃখ, রাগ, হতাশা, শোক—allই স্বাভাবিক। নিজেকে বোঝানো জরুরি যে এই অনুভূতি স্বাভাবিক এবং সময়ের সঙ্গে এটি কমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবেগকে চাপ দিয়ে লুকিয়ে রাখলে মানসিক চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। তাই নিজের অনুভূতিকে বোঝা ও গ্রহণ করা মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

২. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা

বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কাছের মানুষদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা, অনুভূতি ভাগ করা এবং সমর্থন পাওয়া ব্রেকআপের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সামাজিক সংযোগ ব্যক্তিকে একাকিত্বের অনুভূতি থেকে রক্ষা করে এবং মানসিক শক্তি যোগায়।

৩. নিজের জন্য সময় বের করা

ব্রেকআপের পরে নিজেকে সময় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের ব্যস্ত রুটিনে হালকা ব্যায়াম, ধ্যান, পড়াশোনা, নতুন শখের সঙ্গে যুক্ত হওয়া—এগুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিজের যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখা নিজেকে পুনর্গঠনে সহায়ক।

৪. অতীতকে বারবার মনে না রাখা

প্রাক্তন সম্পর্ক নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা বা স্মৃতি মনে করা মানসিক চাপ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করান, স্মৃতি বা ছবি দেখে নিজেকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। ধীরে ধীরে অতীতকে গ্রহণ করে ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করা মানসিক স্বস্তি দেয়।

৫. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা

সঠিক ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রেকআপের সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত চিনি বা এলকোহল গ্রহণ এড়ানো উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মানসিক চাপ কমাতে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৬. নতুন অভিজ্ঞতা ও শখের সঙ্গে যুক্ত হওয়া

যে কোনো নতুন শখ বা অভিজ্ঞতা ব্যক্তিকে ব্যস্ত রাখে এবং নতুন উদ্দীপনা দেয়। এটি মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে এবং নিজের নতুন দিক আবিষ্কারের সুযোগ দেয়। বই পড়া, শিল্পকর্ম, নতুন ভাষা শেখা, বা যেকোনো সৃজনশীল কাজ ব্রেকআপের শোক কমাতে কার্যকর।

৭. নিজের প্রতি ধৈর্য রাখা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের প্রতি ধৈর্য রাখা। সম্পর্ক শেষ হওয়ার দুঃখ একদিনে কমবে না। নিজেকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে দিন এবং প্রয়োজন হলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত