এশিয়া কাপে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইলেও, এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় বেশিরভাগ ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাতেই অবস্থান করেন। সেখানে টি–টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করলেও, ওয়ানডে সিরিজে উল্টো চিত্র দেখা গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলের।
বুধবার রাতে দেশে ফেরার পরই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মুখোমুখি হতে হয় দর্শকদের তীব্র ক্ষোভের। কেউ শুনেছেন দুয়ো, কেউ–বা পরিবারের সামনে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে তাওহীদ হৃদয় ও নাঈম শেখদের গাড়ি লক্ষ্য করে দর্শকদের ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনাটি তুলনামূলক দীর্ঘসময় স্থায়ী হয়।
এ ঘটনায় মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছেন নাঈম শেখ। পরবর্তীতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন বার্তায় তিনি লিখেছেন— “আমরা যারা মাঠে নামি, আমরা শুধু খেলি না, দেশের নামটা বুকে নিয়ে নামি। লাল-সবুজ পতাকাটা শুধু শরীরে নয়, রক্তে মিশে থাকে। প্রতিটা বল, প্রতিটা রান, প্রতিটা শ্বাসে চেষ্টা করি সেই পতাকাটাকে গর্বিত করতে। হ্যাঁ, কখনো পারি, কখনো পারি না। জয় আসে, পরাজয়ও আসে—এটাই খেলাধুলার বাস্তবতা। জানি, আমরা যখন হেরে যাই, তখন আপনাদের কষ্ট হয়, রাগ হয়, কারণ আপনারাও এই দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবাসেন।”
নাঈম আরও লিখেছেন, “কিন্তু আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা, গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসা বা চেষ্টার ঘাটতি রাখি না। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।”
শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়। সমালোচনা হোক যুক্তিতে, রাগে নয়। কারণ আমরা সবাই একই পতাকার সন্তান। জয় হোক, পরাজয় হোক—লাল-সবুজ যেন আমাদের সবার গর্ব থাকে, ক্ষোভের নয়। আমরা লড়ব, আবার উঠব, দেশের জন্য, আপনাদের জন্য, এই পতাকার জন্য।”