ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, মাদক চোরাচালান মোকাবিলার অজুহাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-কে গোপন অভিযানের অনুমতি দিয়ে কারাকাসে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ-কে গোপনে অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন—যা ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার নৌবাহিনীর ওপর চালানো সাম্প্রতিক হামলার ধারাবাহিকতার অংশ হতে পারে।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর মাদুরো একে ‘সিআইএ’র মাধ্যমে পরিচালিত অভ্যুত্থান’ হিসেবে নিন্দা করেন।
বামপন্থি এই নেতা এক ভাষণে বলেন, “ক্যারিবিয়ানে যুদ্ধকে না বলুন… শাসন পরিবর্তনকে না বলুন… সিআইএ’র মাধ্যমে পরিচালিত অভ্যুত্থানকে না বলুন।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এসব দাবি ও পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভেনেজুয়েলা নীতিতে সামরিক উত্তেজনা বাড়ানোর প্রবণতা স্পষ্ট।
চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র এখন মাদক কার্টেলদের সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ রয়েছে এবং এই পদক্ষেপকে মাদক প্রবাহ বন্ধের জন্য ‘প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল।
তবে এ পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের দুই দলেরই ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। অনেক সদস্যের অভিযোগ, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ট্রাম্প কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যা সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।