রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দুপুর নাগাদ পুলিশের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে লেখা এই প্রতিবেদনের সময় দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারীদের মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ আসাদগেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে, অপরদিকে ওই প্রান্তে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছে। পরিস্থিতি এখনো থমথমে।
সড়কে আগুন দেওয়ার সময় আসবাবপত্র, সিরামিক থালা-বাসনসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর করা হয়। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বর্তমানে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ, এমনকি পায়ে হাঁটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংঘর্ষের প্রভাবে মিরপুর সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতের বিক্ষোভের পর সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক আন্দোলনকারী সংসদ ভবন এলাকার ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের আসনে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরই ভেতরে থাকা জুলাই যোদ্ধা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, জুলাই আন্দোলনে তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সরকার। এতে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে না। একইভাবে বাম ধারার চার দল—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জানিয়েছে, সংশোধিত খসড়া না পেলে তারাও স্বাক্ষর করবে না।