ইউরোপের দেশ পর্তুগালে জনসমক্ষে নিকাব ও মুখ ঢেকে রাখার পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সংসদ। সম্প্রতি পাস হওয়া এই আইনের ফলে মুসলিম নারীরা রাস্তাঘাট, সরকারি দপ্তর বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিকাব পরে যেতে পারবেন না।
সরকারের দাবি, জননিরাপত্তা ও পরিচয় শনাক্তকরণ নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও মুসলিম সংগঠনগুলো বলছে, এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ।
পর্তুগিজ পার্লামেন্টে ১৩৬ ভোটে বিলটি পাস হয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৮৭টি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছি না, বরং নিরাপত্তার স্বার্থে একটি ভারসাম্য রক্ষা করছি।”
অন্যদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও ইসলামিক কাউন্সিল বলছে, “এটি ইউরোপে ক্রমবর্ধমান ইসলামভীতির প্রতিফলন। মুসলিম নারীদের পোশাক নিয়ন্ত্রণ তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।”
উল্লেখ্য, এর আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসেও জনসমক্ষে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে ইউরোপজুড়ে মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
