যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফার পরিকল্পনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হামাসের অস্ত্রসমর্পণের ইস্যুটি ফের আলোচনাের কেন্দ্রে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ নাজাল পরিবেশিত প্রস্তাবের ওপর সরাসরি হ্যাঁ/না উত্তর দিতে অনিচ্ছুকতা প্রকাশ করেছেন।
নাজাল বলেছেন, “হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ একটি প্রকল্প এবং অস্ত্রসমর্পণের বিষয়টি নির্ভর করে প্রকল্পের ধরনের ওপর — কে অস্ত্র গ্রহণ করবে, কার কাছে আমরা অস্ত্র সমর্পণ করবো তা জানা প্রয়োজন।” তিনি জানান, হামাস বর্তমানে গাজায় নিরাপত্তা রক্ষায় অংশ নিতে চায় এবং অস্ত্রসমর্পণের বিষয়ে বিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বর্তমানে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় চলছে — সাংঘাত কমেছে এবং ত্রাণ প্রবেশ স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগুচ্ছে; কিন্তু এর সঙ্গে অপরাধ প্রবণতা, চুরি-ডাকাতি ও ত্রাণ লুটপাটের মতো সমস্যা বেড়েছে এবং অস্ত্রধারী গ্যাংগুলোর উৎপত্তি ঘটেছে। নাজাল বলেন, শুধু হামাসের অস্ত্রসমর্পণেই কাজ শেষ হবে না; গাজায় আরও কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে — তাদেরও অস্ত্রসমর্পণ দরকার হবে। তিনি মনে করেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করেন; উভয় পক্ষের মেনে নেওয়ার পর ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।