ঢাকা-বেনাপোল রেলপথের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক যাত্রায় ব্যবহৃত চারটি চাইনিজ কোচ যুক্ত হয়েছে। নতুন কোচে যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এর মধ্যে এসি কেবিনে ১২ জন, এসি চেয়ারে (স্নিগ্ধা) ১০৮ জন ও শোভন চেয়ারে ৩৪২ জন। ট্রেনটিতে মোট আসন থাকছে ৮৮৪টি। বেনাপোল, ঝিকরগাছা, যশোর ছাড়াও অন্য স্টেশন থেকেও ট্রেনে যাত্রী ওঠানামা করবে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর প্রায় চার বছর পর পুরাতন কোচ পরিবর্তন করে নতুন কোচ যুক্ত হলো। বাড়ানো হয়েছে কোচ ও আসন সংখ্যা। বেড়েছে অন্য সুবিধাও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল-ঢাকা রুট শুরুর সময় নতুন ট্রেন পরিবর্তন করে ভারত থেকে আমদানি করা পুরাতন ট্রেন দেওয়ায় নেমে যায় যাত্রীসেবার মান। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে যশোরবাসী। সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো।
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক যাত্রায় ব্যবহৃত চাইনিজ কোচ যুক্ত হয়েছে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে। সদ্য আমদানি করা অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১২ বগি নিয়ে বেনাপোল-ঢাকা রুটে চলাচল শুরু করলো বেনাপোল এক্সপ্রেস। ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীসহ এ অঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঈদ উপহার হিসেবে এ বগি সংযুক্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোলের স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান। তিনি বলেন, বর্তমানে বেনাপোল এক্সপ্রেসে কোচ আছে আটটি। নতুন রেকে চারটি বাড়িয়ে কোচ সংখ্যা ১২টিতে উন্নীত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৮ সিটের একটি এসি কোচ, ১৬০ সিটের দুটি এসি চেয়ার এবং ৭৭৬ আসন বিশিষ্ট নয়টি শোভন চেয়ার কোচ থাকবে। ট্রেনটিতে মোট আসন থাকছে ৮৮৪টি। যা আগের চলা ট্রেনের মোট আসনের থেকে ১০১টি বেশি। এছাড়া নতুন ট্রেনটিতে একটি নামাজের স্থান এবং সামনে ও পেছনের দিকে দুটি খাবারের স্থান আছে। যা আগে চলা ট্রেনটিতে ছিল না।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, নতুন ট্রেনে যাত্রীরা আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন। এসি কেবিন ভাড়া ১১১৬ টাকা, এসি চেয়ার ভাড়া ৯৩২ টাকা ও শোভন চেয়ার ৪৮৫ টাকা নির্ধারণ আছে। টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়নি। বর্তমান সূচি অনুযায়ী নতুন ট্রেনটি দুপুর পৌনে ১টায় ছেড়ে যাবে।
ট্রেনে ঢাকা যাওয়া যাত্রী তরিকুল আলম বলেন, আমি ভারত থেকে এসে নতুন ট্রেনের খবর শুনে আর বাসে যায়নি। এসি চেয়ারে যাচ্ছি। সিটগুলো খুবই আরামদায়ক।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, নতুন ট্রেনে যাত্রীরা আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন। এসি কেবিন ভাড়া ১১১৬ টাকা, এসি চেয়ার ভাড়া ৯৩২ টাকা ও শোভন চেয়ার ৪৮৫ টাকা নির্ধারণ আছে। টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়নি। বর্তমান সূচি অনুযায়ী নতুন ট্রেনটি দুপুর পৌনে ১টায় ছেড়ে যাবে।
ট্রেনে ঢাকা যাওয়া যাত্রী তরিকুল আলম বলেন, আমি ভারত থেকে এসে নতুন ট্রেনের খবর শুনে আর বাসে যায়নি। এসি চেয়ারে যাচ্ছি। সিটগুলো খুবই আরামদায়ক।
ভারত থেকে আসা শামছুর রহমান তার পরিবারের ছয়জন সদস্য নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন এ ট্রেনে। তিনি বলেন, করোনার আগে ট্রেনে যাতায়াত করতাম। মাঝে ট্রেনের বগি পরিবর্তন করায় আর যাওয়া আসা হয়নি। বাসেই যাতায়াত করেছি। নতুন বগির খবর পেয়ে আবার সবাইকে নিয়ে এসি কেবিনে ঢাকা যাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত চেম্বারের বন্দর বিষয়ক পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের অনেক আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হলো বেনাপোল এক্সপ্রেসে নতুন রেক স্থাপন। এ রুটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষ ভারতে যাতায়াত করে। বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় মানুষের ভ্রমণক্লান্তি অনেক কমে আসে। কিন্তু রেল প্রশাসন শুরুর দিককার ট্রেনের উন্নতমানের রেক সরিয়ে সেখানে পুরাতন রেক দেওয়ায় সেবার মান কমে যায়। এ নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। অবশেষে নতুন রেক আসায় স্বস্তি ফিরলো।