যশোরে প্রেমিকের সাথে বেড়াতে বের হয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (১৯)। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। ধৃতরা হলেন, তরুণীর প্রেমিক সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের জগহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সাকিব (২৮), সাজুল ইসলামের ছেলে বাচ্চু (৩২) ও কমলাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে মহাব্বত (১৯)। মামলার আরেক আসামি জগহাটি গ্রামের আনিচুরের ছেলে আজিমুল ইসলাম পলাতক আছে। শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে মহব্বত নামের এক আসামি।
গণধর্ষণের শিকার তরুণীর অভিযোগ, সাকিবের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি তারা নানা বাড়ি চুড়ামনকাটিতে ছিলেন। সাকিক তাকে মোবাইল করে বাসে উঠে বেলতলায় যেতে বললে তিনি সেখানে যান। সেখান থেকে জগহাটির তিন রাস্তার মাথায় গিয়ে বাকি আসামিদের দেখতে পান। তারা চারজন ও তিনি মোট ৫ জন ইজিবাইকে করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান।
এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে জগহাটি রুলপাড়ার একটি ডাটা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বাচ্চু, পরে সাকিব, আজিমুল ও মহব্বত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে বাচ্চু তার মোবাইল ফোনসেটটি নিয়ে যায়। তার উঠার কোন শক্তি ছিলো না। তিনি চিৎকার দিলেও ফাঁকা স্থান হওয়ায় তার চিৎকার কেউ শুনতে পাইনি। পরে সাকিব তাকে উঠিয়ে একটি যাত্রী ছাউনির মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। সেখানে তিনি মরার মতো পড়ে ছিলেন। আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তিনি কোতয়ালি থানায় গিয়ে পুলিশে অভিযোগ দেন।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ওই নারী থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে তিনজনকে আটক করে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, মহব্বত ইজিবাইক চালক। তার ইজিবাইকে ওই নারীসহ অন্যরাও ছিলেন। ঘুরাঘুরি শেষে ইজিবাইকের ভাড়া চাইলে তারা ভাড়া না দিয়ে ধর্ষণ করতে বলে। অন্যথায় হত্যার হুমকি দেয়। ফলে তিনিও ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। তাদের চারজনের মধ্যে তিনজন ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আর বাচ্চু একবার ধর্ষণ করে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মহব্বত।

প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী