দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
ছয় মাস বন্ধের পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ভারত থেকে এক ট্রাকে ৯ হাজার ৮৪০ কেজি কাঁচা মরিচ দেশে ঢুকেছে। হিলি স্থলবন্দরের আশা বাণিজ্যালয় এসব এগুলো আমদানি করেছে।
আশা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে দেশে মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তে বাড়তে ২০০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বিকাল থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি দাম কমে আসবে।’
সাধারণত বিহার প্রদেশ থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয় জানিয়ে এই আমদানিকারক বলেন, ‘তবে আমরা ভারতের ফুলবাড়ি থেকে এনেছি। পরবর্তীতে বিহার থেকে আনবো। প্রতি টন ২০০ মার্কিন ডলারে কিনতে হচ্ছে, ডলারের বিনিময় মূল্য ১২০ টাকা হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২৪ টাকা। এর সঙ্গে কেজিতে যোগ হচ্ছে রফতানি শুল্ক ৩৫ টাকা। হিসাবে কেজি পড়ছে ৬০ টাকা। তার সঙ্গে বন্দরের কাস্টমস শুল্ক, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ আছে। সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাবে। তবে সবমিলিয়ে বাজারে গেলে ১০০ টাকার নিচে থাকবে দাম। আমদানি শুল্ক কিছুটা কমানো হলে আরও কমতো দাম।
ছয় মাস বন্ধের পর বৃহস্পতিবার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়, বিকাল থেকে আসা শুরু হয়েছে বলে জানালেন হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিকাল ৩টা পর্যন্ত বন্দরের ছয় আমদানিকারক দুই হাজার ৪০০ টন মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আমদানিকৃত মরিচ দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৪০ কেজি আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ২১ নভেম্বর মরিচ আমদানি হয়েছিল। আজ থেকে আবার শুরু হলো। আমদানির ফলে রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে তেমনি বন্দরের দৈনিক আয়ও বাড়বে।’