পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ১৯৭২-৭৫ সালের পত্রিকা

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ১৯৭২-৭৫ সালের পত্রিকা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে থাকা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের সমসাময়িক পত্রিকাগুলো পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর অনেকটা অঘোষিতভাবে সবার জন্য সেগুলো উন্মুক্ত করা হয়। এখন থেকে ওই চার বছরের পত্রিকা সবাই দেখতে ও পড়তে পারছেন।

এর আগে, ২০১২-১৩ সালের দিকে ‘টেকনিক্যাল কারণ’ দেখিয়ে পত্রিকার হার্ড কপি শিক্ষার্থীদের জন্য অলিখিতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও গবেষকদের এসব পত্রিকার ছাপা অংশের স্ক্যান করা কপি প্রিন্ট করে দেওয়া হতো। কেউ চাইলেও এর মূল কপি দেখতে পেতেন না।

তবে সুনির্দিষ্টভাবে কত তারিখ থেকে এসব পত্রিকা দেখানো বন্ধ করা হয়, তা সংশ্লিষ্টদের কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-গ্রন্থাগারিক জানান, ২০১২-১৩ সালের দিকে ‘টেকনিক্যাল কারণে’ সব পত্রিকার কপি দেখানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে প্রায় এক যুগ পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সাল বা তারও আগে থেকে ১৯৭২-৭৫ সালের প্রকাশিত পত্রিকার কপি দেখানো বন্ধ হয়। তখন থেকে কেউ ওই চার বছরের পত্রিকা হাতে ধরে পড়তে পারেননি। খুব জরুরি হলে পত্রিকার নির্দিষ্ট কোনো খবর বা লেখার অংশ নেওয়া যেত স্ক্যান করা ‘সফট কপি’ হিসেবে। সবশেষ এ বছরের শুরুতেও কয়েকজন সাংবাদিক আর্কাইভ সেকশনে গিয়েছিলেন মূল পত্রিকা দেখার জন্য। কিন্তু তাদেরকে পত্রিকা দেখতে দেওয়া হয়নি। তবে তারা ১৯৭২ সালের আগের পত্রিকার কপি দেখতে পেয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপ-গ্রন্থাগারিক মীর নজরুল ইসলাম বলেন, এই আর্কাইভগুলোর হার্ড কপি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে কারও প্রয়োজন হলে তিনি অনলাইন সেকশন থেকে নিতে পারতেন।

আরেক উপ-গ্রন্থাগারিকের ভাষ্য মতে, সবাই এসে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পত্রিকা দেখতে চাইতেন। পরে সেগুলোর এমন অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, ধরলেই ছিঁড়ে যায়। সংরক্ষণ ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য সেগুলো আলাদা স্টোরে রাখা হয়। কেউ কেউ বলছেন, আমরা ইতিহাস গোপন করছি। কিন্তু বিষয়টি সত্য নয়।

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরুদ্দিন মুন্সী বলেন, এই রেকর্ডগুলো আমাদের আর্কাইভে থাকলে সবাই পাবে। মাঝে বিচার বিভাগের কমিশনের মামলার সুবিধার জন্য কিছু ডকুমেন্টস তারা পিক করে নিয়েছিল। এখন থেকে সেগুলোর হার্ড কপি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ১৯৭২-৭৫ সালের পত্রিকা

পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ১৯৭২-৭৫ সালের পত্রিকা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে থাকা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের সমসাময়িক পত্রিকাগুলো পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর অনেকটা অঘোষিতভাবে সবার জন্য সেগুলো উন্মুক্ত করা হয়। এখন থেকে ওই চার বছরের পত্রিকা সবাই দেখতে ও পড়তে পারছেন।

এর আগে, ২০১২-১৩ সালের দিকে ‘টেকনিক্যাল কারণ’ দেখিয়ে পত্রিকার হার্ড কপি শিক্ষার্থীদের জন্য অলিখিতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও গবেষকদের এসব পত্রিকার ছাপা অংশের স্ক্যান করা কপি প্রিন্ট করে দেওয়া হতো। কেউ চাইলেও এর মূল কপি দেখতে পেতেন না।

তবে সুনির্দিষ্টভাবে কত তারিখ থেকে এসব পত্রিকা দেখানো বন্ধ করা হয়, তা সংশ্লিষ্টদের কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-গ্রন্থাগারিক জানান, ২০১২-১৩ সালের দিকে ‘টেকনিক্যাল কারণে’ সব পত্রিকার কপি দেখানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে প্রায় এক যুগ পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সাল বা তারও আগে থেকে ১৯৭২-৭৫ সালের প্রকাশিত পত্রিকার কপি দেখানো বন্ধ হয়। তখন থেকে কেউ ওই চার বছরের পত্রিকা হাতে ধরে পড়তে পারেননি। খুব জরুরি হলে পত্রিকার নির্দিষ্ট কোনো খবর বা লেখার অংশ নেওয়া যেত স্ক্যান করা ‘সফট কপি’ হিসেবে। সবশেষ এ বছরের শুরুতেও কয়েকজন সাংবাদিক আর্কাইভ সেকশনে গিয়েছিলেন মূল পত্রিকা দেখার জন্য। কিন্তু তাদেরকে পত্রিকা দেখতে দেওয়া হয়নি। তবে তারা ১৯৭২ সালের আগের পত্রিকার কপি দেখতে পেয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপ-গ্রন্থাগারিক মীর নজরুল ইসলাম বলেন, এই আর্কাইভগুলোর হার্ড কপি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে কারও প্রয়োজন হলে তিনি অনলাইন সেকশন থেকে নিতে পারতেন।

আরেক উপ-গ্রন্থাগারিকের ভাষ্য মতে, সবাই এসে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পত্রিকা দেখতে চাইতেন। পরে সেগুলোর এমন অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, ধরলেই ছিঁড়ে যায়। সংরক্ষণ ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য সেগুলো আলাদা স্টোরে রাখা হয়। কেউ কেউ বলছেন, আমরা ইতিহাস গোপন করছি। কিন্তু বিষয়টি সত্য নয়।

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরুদ্দিন মুন্সী বলেন, এই রেকর্ডগুলো আমাদের আর্কাইভে থাকলে সবাই পাবে। মাঝে বিচার বিভাগের কমিশনের মামলার সুবিধার জন্য কিছু ডকুমেন্টস তারা পিক করে নিয়েছিল। এখন থেকে সেগুলোর হার্ড কপি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত