বঙ্গবন্ধু টানেল একটি মাইলফলক

,
বঙ্গবন্ধু টানেল একটি মাইলফলক
বঙ্গবন্ধু টানেল একটি মাইলফলক

বঙ্গবন্ধু টানেল হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গ সড়ক । এই সুড়ঙ্গটি নির্মিত হলে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গেন মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে থেকেই টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে বলে আশা করছে।

গত ১২ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমভাগে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল।

চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এই সুড়ঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। প্রথমে টানেল নির্মাণের খরচ ধরা হয় ৮ হাজার ৪৪৬.৬৩ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪.৪২ কোটি টাকা। এবার ব্যয় বাড়ায় প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯.৭১ কোটি টাকা। টানেল ঘিরে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। টানেল চালু হলে দৈনিক ১৭২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগও শুরু হয়েছে।

পদ্মা সেতুর পর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আরেকটি উৎসবের জন্য অপেক্ষায় চট্টগ্রামসহ দেশবাসী।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু টানেল একটি মাইলফলক

বঙ্গবন্ধু টানেল একটি মাইলফলক
বঙ্গবন্ধু টানেল একটি মাইলফলক

বঙ্গবন্ধু টানেল হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গ সড়ক । এই সুড়ঙ্গটি নির্মিত হলে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গেন মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে থেকেই টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে বলে আশা করছে।

গত ১২ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমভাগে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল।

চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এই সুড়ঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। প্রথমে টানেল নির্মাণের খরচ ধরা হয় ৮ হাজার ৪৪৬.৬৩ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪.৪২ কোটি টাকা। এবার ব্যয় বাড়ায় প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯.৭১ কোটি টাকা। টানেল ঘিরে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। টানেল চালু হলে দৈনিক ১৭২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগও শুরু হয়েছে।

পদ্মা সেতুর পর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আরেকটি উৎসবের জন্য অপেক্ষায় চট্টগ্রামসহ দেশবাসী।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত