মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এ খবর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এলাকায় থাকা সব অবৈধ অস্ত্র ধাপে ধাপে উদ্ধার করা হবে।
শনিবার বিকালে জামালপুরে সদ্য স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকরা এ সময় মুন্সীগঞ্জের আলু চাষীদের সমস্যার কথা তুলে ধরলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। আলু চাষীরা যাতে ন্যায্য দাম পান, সেজন্য আমরা আলুর মূল্য নির্ধারণ করেছি। কিন্তু মূল্য নির্ধারণের পরও হিমাগার থেকে আলু বের হচ্ছে না।”
স্থানীয়রা আশা করছেন, এই সফরের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। তবে তাদের একাংশের দাবি, স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প যেন এলাকার মধ্যবর্তী ও নিরপেক্ষ স্থানে স্থাপন করা হয়। কারণ, এলাকায় এক গ্রুপ বিতাড়িত হলে অন্য গ্রুপ প্রবেশ করছে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ন রশীদ এবং গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নৌ ডাকাতদের দমনে গত ২২ আগস্ট জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। কিন্তু ক্যাম্প চালুর তিন দিন পর (২৫ আগস্ট) ক্যাম্পসংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলি ও ৪-৫টি ককটেল নিক্ষেপ করে জলদস্যুরা। ওই ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেআই/