জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে মূল বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি তার স্বপ্নের তিনটি শূন্য (থ্রি-জিরো) বিশ্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন—কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, দারিদ্র্য দূর করতে সম্পদ কেন্দ্রীকরণ শূন্যে আনা এবং মানবসৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে বেকারত্ব শূন্যে নামিয়ে আনা।
তিনি শূন্য বর্জ্যের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘জিরো ওয়েস্ট ইনিশিয়েটিভ’ সমর্থনে সবাইকে আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একজন থ্রি-জিরো ব্যক্তি টেকসই জীবনযাপন করবেন, বর্জ্য কমাবেন, সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করবেন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বৈষম্য কিংবা বেকারত্ব বৃদ্ধিতে কোনোভাবেই অবদান রাখবেন না।
তিনি আরও বলেন, যত বেশি মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হবে, তত বেশি ক্লাবগুলো রূপ নেবে থ্রি-জিরো পরিবারে, থ্রি-জিরো গ্রামে, থ্রি-জিরো শহরে এবং একদিন আমরা পৌঁছে যাব থ্রি-জিরো বিশ্বে। এটি শুরু হয় একটি ছোট পদক্ষেপ থেকে, তবে একসঙ্গে এগোলে সেই পদক্ষেপই বিশ্ব পরিবর্তনের শক্তি হয়ে উঠবে।
জাতিসংঘের মঞ্চকে কেবল বক্তব্য দেয়ার নয়, বরং অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেয়ার জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অস্থির সময়ে প্রকৃত রূপান্তর নিহিত রয়েছে আমাদের ঐক্যের মধ্যে। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি—সামাজিক ব্যবসার শক্তি, তরুণদের উদ্যম এবং প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাই—তাহলে জটিলতম বৈশ্বিক সংকটও মোকাবিলা করা সম্ভব।