জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্কে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।
শুনানিতে জুলাই আন্দোলনের বিভিন্ন তথ্যচিত্র, শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসানুল হক ইনু ও শেখ ফজলে নূর তাপসের কথোপকথন, ফোনালাপ এবং প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিমদের সাক্ষী বর্ণনা উপস্থাপন করা হয়। তাজুল ইসলাম বলেন, এই প্রমাণগুলোই দেখায় যে আন্দোলন দমন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, আন্দোলনের সময় ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ও ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সাক্ষীর জবানবন্দিতে উঠে এসেছে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও গুলিতে আহতদের ভয়াবহ চিত্র। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অন্তঃসত্ত্বা পারভিন আক্তারের সাক্ষ্য উল্লেখযোগ্য। গত বছরের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে তার বাম চোখ নষ্ট হয়। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেও পুলিশের হামলায় আহত হন। পারভিন বলেন, “আমার অন্ধ হওয়ার একমাত্র দায়ী শেখ হাসিনা। আমি ন্যায়বিচারের জন্য এখানে এসেছি।”
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৩ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চার আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।