দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তি উপেক্ষা করে গাজা সিটির দুটি পৃথক স্থানে গুলি চালিয়ে নয়জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ফেরার পথে ফিলিস্তিনিরা গুলির শিকার হন। হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, নিহতদের মরদেহ গাজার আল আহলি ও আল নাসের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, “সন্দেহভাজন” ব্যক্তিদের লক্ষ্য করেই তারা গুলি চালায়। তাদের ভাষ্যমতে, নিহতরা ইসরায়েলি সেনাদের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন।
এর আগে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গত ১৩ অক্টোবর হামাস ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে, যাদের মধ্যে গুরুতর সাজাপ্রাপ্তও ছিলেন, মুক্তি দেয়। বন্দিদের স্বাগত জানাতে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।
এ চুক্তির অংশ হিসেবে সোমবারও হামাস গাজা থেকে আরও কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, আর ইসরায়েল তাদের পাল্টা হিসেবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ফেরত পাঠায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের “সমাপ্তি” ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিলেন। এর জবাবে ইসরায়েলের দীর্ঘ সামরিক অভিযানে গাজার প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
সূত্র : রয়টার্স