চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনায় কোনো বিলম্ব হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভোট গণনায় অযথা সময় নষ্ট হবে না। এ নির্বাচনে জাল ভোটের কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের হাতে ছবি-সংবলিত ভোটার তালিকা রয়েছে। তারা তালিকা মিলিয়ে ভোটার শনাক্ত করছেন। ফলে জাল ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি।”
উপ-উপাচার্য জানান, যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে ভোট দিচ্ছে। তিনি বলেন, “ডাকসু বা জাকসুর মতো ভোট গণনায় দেরি হবে না। কারণ আমরা ওএমআর (Optical Mark Recognition) মেশিনে ভোট গণনা করব। এটি আমাদের স্বতন্ত্রতা।”
এবারের চাকসু নির্বাচনে ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন, হল সংসদে ৪৭৩ জন এবং হোস্টেল সংসদের জন্য ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫২১ জন; এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।
ভোটগ্রহণ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে ৬৭টি ভোটকক্ষ, যেখানে পাঁচটি করে ব্যালট বাক্স ও পাঁচজন করে এজেন্ট রাখা হয়েছে। একটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারছেন।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ২৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।