চট্টগ্রামের মিরপুরে ২০৭ রানের সংগ্রহ খুব বড় কিছু না হলেও, রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে সেটিই হয়ে ওঠে পাহাড়সম লক্ষ্য। তরুণ এই লেগ স্পিনারের অসাধারণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় মাত্র ১৩৩ রানে, ফলে বাংলাদেশ পায় ৭৪ রানের দাপুটে জয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের মাত্র ৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান আউট হয়ে ফেরেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় সামলে নেন প্রাথমিক ধাক্কা। দুজন মিলে ৭১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন। হৃদয় করেন ৯১ বলে ৫১ রান, আর শান্ত ৬৩ বলে ৩২।
অভিষিক্ত মাহিদুল অঙ্কনও দেখেশুনে খেলেন, করেন ৭৬ বলে ৪৬ রান। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ২৭ বলে ১৭ রানের ইনিংস ও শেষ দিকে রিশাদের ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ক্যামিওতে দল পৌঁছে যায় ২০৭ রানে।
২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫১ রান। কিন্তু এরপরই আক্রমণে এসে রিশাদ বদলে দেন ম্যাচের চিত্র। নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান এথানেজকে। এরপর একে একে ফিরিয়ে দেন কার্টি, কিং, রাদারফোর্ড ও চেজকে। শেষ উইকেট হিসেবে জেডেন সিলসকে আউট করে সম্পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার, আরেকটু এগিয়ে নেন ছয় উইকেট পর্যন্ত!
রিশাদ ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন — যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। মুস্তাফিজ নেন ২ উইকেট, তানভীর ইসলাম ১টি।
ম্যাচ শেষে রিশাদ হোসেনকে ঘোষণা করা হয় ম্যাচসেরা হিসেবে। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।