দুই সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এ যুদ্ধবিরতি যেন টিকে থাকে তা নিশ্চিত করতে দুই দেশ ফলোআপ বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে কাতার।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সরাসরি সংঘর্ষ। এতে কয়েকশ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক আলোচনায় আফগানিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব, আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
পাকিস্তান অভিযোগ করছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে থাকা ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিচ্ছে কাবুল, যা তারা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। দুই সপ্তাহ আগে কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান; এর প্রতিশোধ নিতে সীমান্তে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালায় আফগান সেনারা। এরপর সংঘর্ষটি বড় আকার ধারণ করে এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে শতাধিকের বেশি।
গত সপ্তাহে দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তান আফগান সীমান্ত এলাকায় আবারও বিমান হামলা চালায়। যদিও তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছিলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আফগানিস্তান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদদ দেয় না। তবে গত শুক্রবার আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর আত্মঘাতী হামলায় সাত সেনা নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
সূত্র: রয়টার্স