জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান চিফ প্রসিকিউটরের

স্টাফ রিপোর্টার এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান চিফ প্রসিকিউটরের

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের প্রত্যেকটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত-এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে যেসব তরুণ প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাদের বীরত্বগাথা জানিয়ে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তৈরি করতে হবে। “আমরা যদি তাদের তুলে আনতে না পারি, তাহলে নতুন প্রজন্মের ইতিহাস ও চেতনা আমরা বুঝতে পারব না। আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ারও অধিকার হারাব,” — বলেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, “জুলাই ও আগস্টে যে মহাবিপ্লব ঘটেছে, তার ভেতরকার পরিবর্তন বুঝতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শহরের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলো, তরুণদের ভাষা ও উপস্থাপন আমাদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। সে আলোকে নতুন প্রজন্মের ভাবনা ও আকাঙ্ক্ষা কেন্দ্র করে ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে।”

শেখ হাসিনার আমলের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের পত্রিকাগুলো শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহ বাস্তবতা পুরোপুরি তুলে আনতে পারেনি। এখনও সময় আছে, প্রতিটি গুম, প্রতিটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।”

তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা জেনজিকে অবমূল্যায়ন করেছি। বলতাম, তারা পাবজি খেলে, ফেসবুকে সময় কাটায়, ফার্মের মুরগির মতো। কিন্তু আবাবিল পাখির মতো ক্ষুদ্র পাথর ও লাঠি দিয়ে তারা এক স্বৈরশাসককে শুধু পিষে ফেলেনি, বরং দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।”

তিনি এটিকে “এক মহাকাব্যিক বিপ্লব” হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “এ বিপ্লব আমাদের জাতির রক্তস্রোতে মিশে গেছে। আমাদের সন্তানেরা কীভাবে এমন সাহসিকতা দেখাতে পারে, তা ইতিহাসে লিখে রাখতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য, যেন প্রয়োজন হলে তারাও আবার জেগে উঠতে পারে।”

চিফ প্রসিকিউটর নয়া দিগন্তের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আপনাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে চাই — মুক্ত বাংলাদেশকে আবার সমৃদ্ধির পথে নিতে হবে। এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে আমাদের মানুষ উচ্চশিক্ষা বা ব্যবসার জন্য বিদেশে যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যেমন একসময় ইংরেজরা ব্যবসা শেখার জন্য বাংলায় এসেছিল, তেমনি একদিন ইউরোপ-আমেরিকা-চীনের মানুষও শিক্ষা, ব্যবসা, স্থাপত্য ও সংস্কৃতি শেখার জন্য এই বাংলাদেশে আসবে। সেই দিনের স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান চিফ প্রসিকিউটরের

জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান চিফ প্রসিকিউটরের

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের প্রত্যেকটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত-এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে যেসব তরুণ প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাদের বীরত্বগাথা জানিয়ে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তৈরি করতে হবে। “আমরা যদি তাদের তুলে আনতে না পারি, তাহলে নতুন প্রজন্মের ইতিহাস ও চেতনা আমরা বুঝতে পারব না। আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ারও অধিকার হারাব,” — বলেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, “জুলাই ও আগস্টে যে মহাবিপ্লব ঘটেছে, তার ভেতরকার পরিবর্তন বুঝতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শহরের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলো, তরুণদের ভাষা ও উপস্থাপন আমাদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। সে আলোকে নতুন প্রজন্মের ভাবনা ও আকাঙ্ক্ষা কেন্দ্র করে ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে।”

শেখ হাসিনার আমলের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের পত্রিকাগুলো শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহ বাস্তবতা পুরোপুরি তুলে আনতে পারেনি। এখনও সময় আছে, প্রতিটি গুম, প্রতিটি শহীদের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।”

তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা জেনজিকে অবমূল্যায়ন করেছি। বলতাম, তারা পাবজি খেলে, ফেসবুকে সময় কাটায়, ফার্মের মুরগির মতো। কিন্তু আবাবিল পাখির মতো ক্ষুদ্র পাথর ও লাঠি দিয়ে তারা এক স্বৈরশাসককে শুধু পিষে ফেলেনি, বরং দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।”

তিনি এটিকে “এক মহাকাব্যিক বিপ্লব” হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “এ বিপ্লব আমাদের জাতির রক্তস্রোতে মিশে গেছে। আমাদের সন্তানেরা কীভাবে এমন সাহসিকতা দেখাতে পারে, তা ইতিহাসে লিখে রাখতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য, যেন প্রয়োজন হলে তারাও আবার জেগে উঠতে পারে।”

চিফ প্রসিকিউটর নয়া দিগন্তের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আপনাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে চাই — মুক্ত বাংলাদেশকে আবার সমৃদ্ধির পথে নিতে হবে। এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে আমাদের মানুষ উচ্চশিক্ষা বা ব্যবসার জন্য বিদেশে যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যেমন একসময় ইংরেজরা ব্যবসা শেখার জন্য বাংলায় এসেছিল, তেমনি একদিন ইউরোপ-আমেরিকা-চীনের মানুষও শিক্ষা, ব্যবসা, স্থাপত্য ও সংস্কৃতি শেখার জন্য এই বাংলাদেশে আসবে। সেই দিনের স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত