পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময়

অতিথি লেখক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময়
পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময়

মানুষের চোখ যে সীমা পর্যন্ত দেখল সেখানে বিজ্ঞান-গবেষণা ও যন্ত্রনির্মাণে অজানার ভাণ্ডার খুলে গেছে তবুও মহাবিশ্ব আমাদের অনেক প্রশ্ন রেখে যায় বাইরে তার অগাধ গহ্বরগুলোতে লুকিয়ে আছে এমন কিছু বিস্ময় যা আধুনিক জ্ঞানের সীমা ছুঁয়ে গেলেও সমাধান এখনও মেলে নি এই প্রতিবেদনে আমরা সবার কাছেই পরিচিত নয় এমন কিছু মহাজাগতিক রহস্য, সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান-প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ তুলে ধরছি যাতে পাঠকরা পৃথিবীর বাইরের যে অচেনা বিস্ময়ের মুখোমুখি তারা আজ সম্যক ধারণা পেতে পারেন

বহির্বিশ্বের মাইক্রোফোরেম এবং অদ্ভুত কণা

এরই মধ্যে নিউক্লিয়ার এবং কণা পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় এমন কিছুর ইঙ্গিত মিলেছে যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে দেখা যায় অন্ধকার পদার্থ এবং অন্ধকার শক্তির প্রকৃতি এখনো রহস্যসে ভর করছে যদিও মহাবিশ্বের মোট ভরশক্তির বড় অংশই এই দুইয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকবে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের অনুজীব কণা যেমন axion বা WIMP ধরার জন্য পৃথিবীর সীমানায় এবং মহাকাশ-অবজারভেটরিতে সমীক্ষা চালাচ্ছেন স্পেকট্রোস্কোপি এবং গভীর-রেঞ্জ ডিটেকশন যন্ত্র দিয়ে পাওয়া সিগন্যালগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের ধারণাগুলোকে পুনর্গঠন করা লাগবে

রেডিয়ো অ্যালিয়েন সংকেত ও রহস্যময় সিগন্যাল

পৃথিবীর বাইরের বুদ্ধিমান জীবনের সন্ধানে রেডিও সিগন্যালের তদারকি দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে আসা অস্বাভাবিক রেডিওসঙ্কেতগুলো কখনো খোঁজ মেলে না বলে বিবেচনা করা হয় না কিছুক্ষণ আগের কেসগুলো যেমন ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ বা FRB‑এর হঠাৎ হওয়া বিস্ফোরণ আধুনিক টেলিস্কোপে তীব্র মনোযোগ অর্জন করেছে এই স্বল্পস্থায়ী অত্যন্ত শক্তিশালী রেডियो বিস্ফোরণগুলোর উৎস এখনো অনিশ্চিত কিছু ক্ষেত্রে নক্ষত্র গাছের কোলাহল, নিউট্রন তারাদের ক্রিয়াকলাপ অথবা ব্ল্যাকহোলের আশেপাশের চাঞ্চল্যজনক ঘটনা বলেও অনুমান করা হচ্ছে তবুও কিছু FRB‑র পুনরাবৃত্তি এবং তাদের আলোকিত আচরণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে গভীর প্রশ্ন তৈরি করেছে

এক্সোপ্ল্যানেট ও জীবনধারণের সম্ভাবনা

গত দুই দশকে টেলিস্কোপ প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতিতে আমরা সূর্যের বাইরের হাজার হাজার গ্রহ আবিষ্কার করেছি বিশেষত ‘হ্যাবিটেবল জোন’ অর্থাৎ সে অঞ্চল যেখানে তরল পানি থাকতে পারে এমন গ্রহগুলোতে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা তিলে তিলে বাড়ছে Kepler ও TESS মতো মিশনগুলো এমন গ্রহ শনাক্ত করেছে কিন্তু ঐ গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল, ভৌগোলিক গঠন এবং জীবনধারণ উপযোগী জৈবিক রাসায়নিক উপাদান আছে কি না এ সব জানা এখনও কঠিন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং ভবিষ্যৎ স্পেকট্রোস্কোপিক মিশনগুলো সেই বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে বায়ুমণ্ডলে মিথেন অক্সিজেন বা উচ্চমাত্রার জৈব অণু পাওয়া গেলে এটি জীবনের সম্ভাবনার শক্তিশালী সূচনা-বিন্দুতে পরিণত হবে

বৃহৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অদৃশ্য কক্ষপথ বস্তু

নিয়মিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেখা যায় এমন কিছু অদ্ভুত বস্তু যেমন ওউমুয়ামুয়া‑এর মত অতিদূরী ইন্টারস্টেলার অবজেক্টগুলো আমাদের সৌরজগতে কৌতূহল ছড়ায় এগুলো কেবল খনিজ-ভিত্তিক নয় বরং আজও কেউ নিশ্চিত নয় এগুলো কি প্রকৃত প্রাকৃতিক ভ্রমণকারী নাকি অন্য কোনো বুদ্ধিজীবী প্রযুক্তির নিদর্শন ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ এবং স্পেকট্রোস্কোপি এই প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর দিতে পারে একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নির্মিত স্বয়ংসম্পূর্ণ যান কিংবা ড্রোন-জাতীয় বস্তু মহাকাশে মানুষের উপলব্ধি বদলে দেবে কারণ তারা দীর্ঘদূরত্ব যোগাযোগ ও অনুসন্ধানে মানব-যোগ্য সময়কে বাঁচাবে

কোয়ান্টাম জারা ও মহাকাশের মাইক্রো-অবকাঠামো

কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং মহাকাশযান নির্মাণের নতুন যুগ চলাকালীন মহাবিশ্বের সবচেয়ে সূক্ষ্ম স্তরে কি অদ্ভুত আচরণ দেখা যায় গবেষকরা গ্র্যাভিটেশনাল লাইভার এবং লেজার ইন্টারফ্যারোমিট্রি ব্যবহার করে স্থান-সময়ে ক্ষুদ্র কুঁচকির মতো প্রভাব ও স্থানীয় কোয়ান্টাম জারাগুলোর সন্ধান করছেন এই পর্যবেক্ষণ ভবিষ্যতে ব্ল্যাকহোল হরাইজন, মহাকাশ-সময় ভাঁজ এবং কোসমোলজির মৌলিক সূত্র সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করবে

মানবতা কি একাকী নয় — নৈতিকতা ও প্রস্তুতি

যদি পৃথিবীর বাইরের জীবনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় তাতে কেবল বিজ্ঞান নয় নৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিণতিও আসবে প্রথমে কীভাবে তথ্য প্রকাশ করা হবে, কাকে জানানো হবে, এবং কিভাবে সমাজ ব্যাবস্থায় বদল আসবে তা নিয়ে বিশ্বস্ত প্রোটোকল প্রয়োজন ইতিমধ্যে SETI ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ধরনের কেসের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন শুরু করেছে তবু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন হলে দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণের নৈতিকতার প্রশ্ন জটিলতা বাড়াবে

গবেষণা ও ভবিষ্যৎ মিশনসমূহ

আধুনিক মিশন ও প্রজেক্ট যেমন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ, রেডিওঅবজারভেটরি, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ও নাসার পরবর্তী প্ল্যানগুলো এই অজানা বিস্ময়গুলোকে অন্বেষণ করার জন্য পরিকল্পিত হয়েছে টেকসই তাপমাত্রা সহনক্ষম রোবট, উচ্চ-রেজোলিউশন স্পেকট্রোস্কোপ এবং দক্ষ ডাটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে আগামীর মিশনসমূহ ঐ অজানা সংকেতগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হবে একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ওপেন ডেটা ও বহুমাত্রিক পর্যবেক্ষণ এই অনুসন্ধানকে গতিশীল করবে

পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময় আমাদের কৌতূহলকে চিরতরে জাগিয়ে রাখে এই অজানা বিষয়গুলো কেবল বৈজ্ঞানিক জিজ্ঞাসা নয় তারা মানবজাতির অস্তিত্ব, প্রযুক্তিগত সামর্থ্য ও নৈতিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মৌলিক প্রশ্ন তোলে ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ, উন্নত যন্ত্রপাতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা হয়ত সেই সব উত্তর খুঁজে পাব কিংবা নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি হব প্রশ্নগুলোর উত্তর যাই হয়ে থাকুক একটিই নিশ্চিত আমাদের অনুসন্ধান থামবে না

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময়

পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময়
পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময়

মানুষের চোখ যে সীমা পর্যন্ত দেখল সেখানে বিজ্ঞান-গবেষণা ও যন্ত্রনির্মাণে অজানার ভাণ্ডার খুলে গেছে তবুও মহাবিশ্ব আমাদের অনেক প্রশ্ন রেখে যায় বাইরে তার অগাধ গহ্বরগুলোতে লুকিয়ে আছে এমন কিছু বিস্ময় যা আধুনিক জ্ঞানের সীমা ছুঁয়ে গেলেও সমাধান এখনও মেলে নি এই প্রতিবেদনে আমরা সবার কাছেই পরিচিত নয় এমন কিছু মহাজাগতিক রহস্য, সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান-প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ তুলে ধরছি যাতে পাঠকরা পৃথিবীর বাইরের যে অচেনা বিস্ময়ের মুখোমুখি তারা আজ সম্যক ধারণা পেতে পারেন

বহির্বিশ্বের মাইক্রোফোরেম এবং অদ্ভুত কণা

এরই মধ্যে নিউক্লিয়ার এবং কণা পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় এমন কিছুর ইঙ্গিত মিলেছে যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে দেখা যায় অন্ধকার পদার্থ এবং অন্ধকার শক্তির প্রকৃতি এখনো রহস্যসে ভর করছে যদিও মহাবিশ্বের মোট ভরশক্তির বড় অংশই এই দুইয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকবে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের অনুজীব কণা যেমন axion বা WIMP ধরার জন্য পৃথিবীর সীমানায় এবং মহাকাশ-অবজারভেটরিতে সমীক্ষা চালাচ্ছেন স্পেকট্রোস্কোপি এবং গভীর-রেঞ্জ ডিটেকশন যন্ত্র দিয়ে পাওয়া সিগন্যালগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের ধারণাগুলোকে পুনর্গঠন করা লাগবে

রেডিয়ো অ্যালিয়েন সংকেত ও রহস্যময় সিগন্যাল

পৃথিবীর বাইরের বুদ্ধিমান জীবনের সন্ধানে রেডিও সিগন্যালের তদারকি দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে আসা অস্বাভাবিক রেডিওসঙ্কেতগুলো কখনো খোঁজ মেলে না বলে বিবেচনা করা হয় না কিছুক্ষণ আগের কেসগুলো যেমন ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ বা FRB‑এর হঠাৎ হওয়া বিস্ফোরণ আধুনিক টেলিস্কোপে তীব্র মনোযোগ অর্জন করেছে এই স্বল্পস্থায়ী অত্যন্ত শক্তিশালী রেডियो বিস্ফোরণগুলোর উৎস এখনো অনিশ্চিত কিছু ক্ষেত্রে নক্ষত্র গাছের কোলাহল, নিউট্রন তারাদের ক্রিয়াকলাপ অথবা ব্ল্যাকহোলের আশেপাশের চাঞ্চল্যজনক ঘটনা বলেও অনুমান করা হচ্ছে তবুও কিছু FRB‑র পুনরাবৃত্তি এবং তাদের আলোকিত আচরণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে গভীর প্রশ্ন তৈরি করেছে

এক্সোপ্ল্যানেট ও জীবনধারণের সম্ভাবনা

গত দুই দশকে টেলিস্কোপ প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতিতে আমরা সূর্যের বাইরের হাজার হাজার গ্রহ আবিষ্কার করেছি বিশেষত ‘হ্যাবিটেবল জোন’ অর্থাৎ সে অঞ্চল যেখানে তরল পানি থাকতে পারে এমন গ্রহগুলোতে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা তিলে তিলে বাড়ছে Kepler ও TESS মতো মিশনগুলো এমন গ্রহ শনাক্ত করেছে কিন্তু ঐ গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল, ভৌগোলিক গঠন এবং জীবনধারণ উপযোগী জৈবিক রাসায়নিক উপাদান আছে কি না এ সব জানা এখনও কঠিন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং ভবিষ্যৎ স্পেকট্রোস্কোপিক মিশনগুলো সেই বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে বায়ুমণ্ডলে মিথেন অক্সিজেন বা উচ্চমাত্রার জৈব অণু পাওয়া গেলে এটি জীবনের সম্ভাবনার শক্তিশালী সূচনা-বিন্দুতে পরিণত হবে

বৃহৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অদৃশ্য কক্ষপথ বস্তু

নিয়মিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেখা যায় এমন কিছু অদ্ভুত বস্তু যেমন ওউমুয়ামুয়া‑এর মত অতিদূরী ইন্টারস্টেলার অবজেক্টগুলো আমাদের সৌরজগতে কৌতূহল ছড়ায় এগুলো কেবল খনিজ-ভিত্তিক নয় বরং আজও কেউ নিশ্চিত নয় এগুলো কি প্রকৃত প্রাকৃতিক ভ্রমণকারী নাকি অন্য কোনো বুদ্ধিজীবী প্রযুক্তির নিদর্শন ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ এবং স্পেকট্রোস্কোপি এই প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর দিতে পারে একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নির্মিত স্বয়ংসম্পূর্ণ যান কিংবা ড্রোন-জাতীয় বস্তু মহাকাশে মানুষের উপলব্ধি বদলে দেবে কারণ তারা দীর্ঘদূরত্ব যোগাযোগ ও অনুসন্ধানে মানব-যোগ্য সময়কে বাঁচাবে

কোয়ান্টাম জারা ও মহাকাশের মাইক্রো-অবকাঠামো

কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং মহাকাশযান নির্মাণের নতুন যুগ চলাকালীন মহাবিশ্বের সবচেয়ে সূক্ষ্ম স্তরে কি অদ্ভুত আচরণ দেখা যায় গবেষকরা গ্র্যাভিটেশনাল লাইভার এবং লেজার ইন্টারফ্যারোমিট্রি ব্যবহার করে স্থান-সময়ে ক্ষুদ্র কুঁচকির মতো প্রভাব ও স্থানীয় কোয়ান্টাম জারাগুলোর সন্ধান করছেন এই পর্যবেক্ষণ ভবিষ্যতে ব্ল্যাকহোল হরাইজন, মহাকাশ-সময় ভাঁজ এবং কোসমোলজির মৌলিক সূত্র সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করবে

মানবতা কি একাকী নয় — নৈতিকতা ও প্রস্তুতি

যদি পৃথিবীর বাইরের জীবনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় তাতে কেবল বিজ্ঞান নয় নৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিণতিও আসবে প্রথমে কীভাবে তথ্য প্রকাশ করা হবে, কাকে জানানো হবে, এবং কিভাবে সমাজ ব্যাবস্থায় বদল আসবে তা নিয়ে বিশ্বস্ত প্রোটোকল প্রয়োজন ইতিমধ্যে SETI ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ধরনের কেসের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন শুরু করেছে তবু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন হলে দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণের নৈতিকতার প্রশ্ন জটিলতা বাড়াবে

গবেষণা ও ভবিষ্যৎ মিশনসমূহ

আধুনিক মিশন ও প্রজেক্ট যেমন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ, রেডিওঅবজারভেটরি, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ও নাসার পরবর্তী প্ল্যানগুলো এই অজানা বিস্ময়গুলোকে অন্বেষণ করার জন্য পরিকল্পিত হয়েছে টেকসই তাপমাত্রা সহনক্ষম রোবট, উচ্চ-রেজোলিউশন স্পেকট্রোস্কোপ এবং দক্ষ ডাটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে আগামীর মিশনসমূহ ঐ অজানা সংকেতগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হবে একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ওপেন ডেটা ও বহুমাত্রিক পর্যবেক্ষণ এই অনুসন্ধানকে গতিশীল করবে

পৃথিবীর বাইরের লুকানো বিস্ময় আমাদের কৌতূহলকে চিরতরে জাগিয়ে রাখে এই অজানা বিষয়গুলো কেবল বৈজ্ঞানিক জিজ্ঞাসা নয় তারা মানবজাতির অস্তিত্ব, প্রযুক্তিগত সামর্থ্য ও নৈতিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মৌলিক প্রশ্ন তোলে ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ, উন্নত যন্ত্রপাতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা হয়ত সেই সব উত্তর খুঁজে পাব কিংবা নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি হব প্রশ্নগুলোর উত্তর যাই হয়ে থাকুক একটিই নিশ্চিত আমাদের অনুসন্ধান থামবে না

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত