গর্ভাবস্থায় মানসিক শান্তিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার ভিত্তি

অতিথি লেখক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
গর্ভাবস্থায় মানসিক শান্তিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার ভিত্তি
গর্ভাবস্থায় মানসিক শান্তিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার ভিত্তি

গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও রূপান্তরমূলক সময়। এই নয় মাসের যাত্রা কেবল শরীরের ভেতরে নতুন জীবনের বিকাশই নয়, বরং মানসিক, সামাজিক ও আবেগিকভাবে এক বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করে। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা হলো—শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্নে জোর দেওয়া হলেও, মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অনেক সময়ই উপেক্ষিত থাকে। অথচ, গর্ভবতী নারীর মানসিক অবস্থা সরাসরি প্রভাব ফেলে গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে।

গর্ভাবস্থা ও মানসিক পরিবর্তন: স্বাভাবিকের বাইরে এক মানসিক যাত্রা

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে ঘটে ব্যাপক হরমোনগত পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ওঠানামা মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে, যা আবেগের পরিবর্তন ঘটায়। অনেক সময় বিনা কারণে কান্না, রাগ, ভয় বা উদ্বেগ দেখা দেয়। বিশেষত প্রথম ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়।

তবে এই মানসিক পরিবর্তন শুধু জৈবিক নয়; সামাজিক ও পারিবারিক পরিস্থিতিও এতে বড় ভূমিকা রাখে। অনেকে গর্ভাবস্থায় একাকিত্ব, অনিশ্চয়তা বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। স্বামী বা পরিবারের সহায়তার অভাব, আর্থিক চাপ, কিংবা কর্মজীবনে সামঞ্জস্য বজায় রাখার কষ্ট—সব মিলিয়ে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপের প্রভাব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্যমতে, প্রতি দশজন গর্ভবতী নারীর মধ্যে অন্তত একজন মাঝারি থেকে গুরুতর মানসিক সমস্যায় ভোগেন। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা শুধু মায়ের জন্য নয়, শিশুর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক চাপ হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুর শেখার সমস্যা, অতিসক্রিয়তা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা গর্ভপাত, প্রি-ম্যাচিউর ডেলিভারি বা কম ওজনের শিশুর জন্মের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তব চিত্র

বাংলাদেশে এখনো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা খুব কম হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীরা অনেক সময় নিজেদের মানসিক সমস্যাকে “স্বাভাবিক ক্লান্তি” বা “গর্ভাবস্থার অংশ” ভেবে চুপচাপ সহ্য করেন। গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে তো বিষয়টি আরও অবহেলিত। সেখানে চিকিৎসক বা কাউন্সেলিং সুবিধার অভাব, সামাজিক কুসংস্কার ও সচেতনতার ঘাটতি নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বড় প্রতিবন্ধক।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৩৬% গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় মাঝারি বা গুরুতর মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। অনেক সময় পরিবার বা স্বামীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়া, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং প্রসব নিয়ে ভয় এই চাপ বাড়িয়ে দেয়।

মানসিক সুস্থতার যত্ন: কীভাবে নেওয়া যায়

গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা কোনো বিলাসিতা নয়—এটি প্রয়োজনীয় যত্নেরই অংশ। কিছু সহজ পরিবর্তন মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

১. সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করুন:

স্বামী, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের মানসিক সহায়তা সবচেয়ে জরুরি। গর্ভবতী নারীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া—এসব ছোট উদ্যোগই তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

২. নিয়মিত বিশ্রাম ও ঘুম:

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ক্লান্ত থাকে এবং মানসিক চাপ বেড়ে যায়। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম ও কিছুটা দুপুরের বিশ্রাম মানসিক শান্তি আনে।

৩. হালকা ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম:

বিশেষজ্ঞের পরামর্শে হালকা হাঁটা বা প্রি-নাটাল যোগব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং স্ট্রেস হরমোন কমায়।

৪. সুষম খাদ্য গ্রহণ:

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফল, সবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে।

৫. ইতিবাচক চিন্তা ও মননশীলতা চর্চা:

ধ্যান, বই পড়া, সঙ্গীত শোনা বা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো মনকে প্রশান্ত রাখে।

৬. প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন:

বিষণ্নতা বা উদ্বেগ দীর্ঘস্থায়ী হলে মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া উচিত। এটি কোনো দুর্বলতার নয়, বরং সচেতনতার নিদর্শন।

প্রসব পরবর্তী মানসিক অবস্থা

প্রসবের পর অনেক নারী “পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন”-এ আক্রান্ত হন। এটি একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর অবস্থা, যা শিশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। তাই গর্ভকাল থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে পরবর্তীতে এই ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

সমাজ ও সরকারের ভূমিকা

মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে মাতৃত্বকালীন যত্নের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোতে “গর্ভকালীন মানসিক পরামর্শ কেন্দ্র” স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলররা নারীদের পরামর্শ দিতে পারবেন। গণমাধ্যমেও সচেতনতামূলক প্রচারণা জরুরি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখাই সুস্থ মাতৃত্বের মূল চাবিকাঠি।

গর্ভাবস্থা কেবল একটি জীবনের সূচনা নয়, এটি পরবর্তী প্রজন্মের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তি। মায়ের মানসিক প্রশান্তি মানেই একটি নিরাপদ ও সুস্থ সন্তানের জন্ম। তাই গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন, কারণ সুখী মা মানেই একটি সুস্থ জাতির ভিত্তি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গর্ভাবস্থায় মানসিক শান্তিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার ভিত্তি

গর্ভাবস্থায় মানসিক শান্তিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার ভিত্তি
গর্ভাবস্থায় মানসিক শান্তিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার ভিত্তি

গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও রূপান্তরমূলক সময়। এই নয় মাসের যাত্রা কেবল শরীরের ভেতরে নতুন জীবনের বিকাশই নয়, বরং মানসিক, সামাজিক ও আবেগিকভাবে এক বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করে। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা হলো—শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্নে জোর দেওয়া হলেও, মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অনেক সময়ই উপেক্ষিত থাকে। অথচ, গর্ভবতী নারীর মানসিক অবস্থা সরাসরি প্রভাব ফেলে গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে।

গর্ভাবস্থা ও মানসিক পরিবর্তন: স্বাভাবিকের বাইরে এক মানসিক যাত্রা

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে ঘটে ব্যাপক হরমোনগত পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ওঠানামা মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে, যা আবেগের পরিবর্তন ঘটায়। অনেক সময় বিনা কারণে কান্না, রাগ, ভয় বা উদ্বেগ দেখা দেয়। বিশেষত প্রথম ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়।

তবে এই মানসিক পরিবর্তন শুধু জৈবিক নয়; সামাজিক ও পারিবারিক পরিস্থিতিও এতে বড় ভূমিকা রাখে। অনেকে গর্ভাবস্থায় একাকিত্ব, অনিশ্চয়তা বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। স্বামী বা পরিবারের সহায়তার অভাব, আর্থিক চাপ, কিংবা কর্মজীবনে সামঞ্জস্য বজায় রাখার কষ্ট—সব মিলিয়ে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপের প্রভাব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্যমতে, প্রতি দশজন গর্ভবতী নারীর মধ্যে অন্তত একজন মাঝারি থেকে গুরুতর মানসিক সমস্যায় ভোগেন। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা শুধু মায়ের জন্য নয়, শিশুর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক চাপ হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুর শেখার সমস্যা, অতিসক্রিয়তা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা গর্ভপাত, প্রি-ম্যাচিউর ডেলিভারি বা কম ওজনের শিশুর জন্মের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তব চিত্র

বাংলাদেশে এখনো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা খুব কম হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীরা অনেক সময় নিজেদের মানসিক সমস্যাকে “স্বাভাবিক ক্লান্তি” বা “গর্ভাবস্থার অংশ” ভেবে চুপচাপ সহ্য করেন। গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে তো বিষয়টি আরও অবহেলিত। সেখানে চিকিৎসক বা কাউন্সেলিং সুবিধার অভাব, সামাজিক কুসংস্কার ও সচেতনতার ঘাটতি নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বড় প্রতিবন্ধক।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৩৬% গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় মাঝারি বা গুরুতর মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। অনেক সময় পরিবার বা স্বামীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়া, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং প্রসব নিয়ে ভয় এই চাপ বাড়িয়ে দেয়।

মানসিক সুস্থতার যত্ন: কীভাবে নেওয়া যায়

গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা কোনো বিলাসিতা নয়—এটি প্রয়োজনীয় যত্নেরই অংশ। কিছু সহজ পরিবর্তন মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

১. সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করুন:

স্বামী, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের মানসিক সহায়তা সবচেয়ে জরুরি। গর্ভবতী নারীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া—এসব ছোট উদ্যোগই তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

২. নিয়মিত বিশ্রাম ও ঘুম:

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ক্লান্ত থাকে এবং মানসিক চাপ বেড়ে যায়। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম ও কিছুটা দুপুরের বিশ্রাম মানসিক শান্তি আনে।

৩. হালকা ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম:

বিশেষজ্ঞের পরামর্শে হালকা হাঁটা বা প্রি-নাটাল যোগব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং স্ট্রেস হরমোন কমায়।

৪. সুষম খাদ্য গ্রহণ:

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফল, সবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে।

৫. ইতিবাচক চিন্তা ও মননশীলতা চর্চা:

ধ্যান, বই পড়া, সঙ্গীত শোনা বা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো মনকে প্রশান্ত রাখে।

৬. প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন:

বিষণ্নতা বা উদ্বেগ দীর্ঘস্থায়ী হলে মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া উচিত। এটি কোনো দুর্বলতার নয়, বরং সচেতনতার নিদর্শন।

প্রসব পরবর্তী মানসিক অবস্থা

প্রসবের পর অনেক নারী “পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন”-এ আক্রান্ত হন। এটি একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর অবস্থা, যা শিশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। তাই গর্ভকাল থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে পরবর্তীতে এই ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

সমাজ ও সরকারের ভূমিকা

মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে মাতৃত্বকালীন যত্নের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোতে “গর্ভকালীন মানসিক পরামর্শ কেন্দ্র” স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলররা নারীদের পরামর্শ দিতে পারবেন। গণমাধ্যমেও সচেতনতামূলক প্রচারণা জরুরি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখাই সুস্থ মাতৃত্বের মূল চাবিকাঠি।

গর্ভাবস্থা কেবল একটি জীবনের সূচনা নয়, এটি পরবর্তী প্রজন্মের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তি। মায়ের মানসিক প্রশান্তি মানেই একটি নিরাপদ ও সুস্থ সন্তানের জন্ম। তাই গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন, কারণ সুখী মা মানেই একটি সুস্থ জাতির ভিত্তি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত