কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহায়তায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানি এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে শনিবার সকালে নির্যাতিত তরুণী মামলা দায়ের করলে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—ভুক্তভোগীর স্বামী (২৬), বেলাল হোসেন (৩৫), হৃদয় (২৫), মহিন উদ্দিন (২৬) ও আবুল কালাম (৪৫)। সবাই নোয়াখালীর বাসিন্দা এবং চৌদ্দগ্রামের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই বছর তিনি স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। তবে স্বামীর মাদকাসক্তি ও অসদাচরণের কারণে ছয় মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যান। সম্প্রতি সালিসের মাধ্যমে তিনি পুনরায় স্বামীর বাড়ি ফেরেন।
১৫ অক্টোবর স্বামী তাকে শহরে রাখার কথা বলে চৌদ্দগ্রামের একটি ইটভাটায় নিয়ে যান। সেখানে থাকার ব্যবস্থা করেন বেলাল হোসেন। পরদিন (১৬ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে স্বামী বেলাল ও আবুল কালামকে নিয়ে এসে তাদের সহায়তায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ভয় ও লজ্জায় তরুণী বিষয়টি চুপ করে যান। তবে ১৮ অক্টোবর রাতে আবারও স্বামীর সহায়তায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাকে ধর্ষণ করে। ২০ অক্টোবর হৃদয় পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার করলে স্বামী তাকে মারধর করে এবং মুখ খুললে হত্যার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তরুণীর বাবা তাকে উদ্ধার করেন।
ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। নির্যাতিত তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।


