নিখোঁজের ৫ বছর পর ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র

মিন্টু মিয়া জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
নিখোঁজের ৫ বছর পর ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র
নিখোঁজের ৫ বছর পর ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র

মাদ্রাসার আরবি পড়াশোনা ভাল না লাগায় এবং পড়াশোনার চাপে গত ৫ বছর আগে ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তৌহিদুজ্জামান রিমন(১৭) মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে যান। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি সন্ধান। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় রিমনের বাবা কামরুল ইসলাম নান্দাইল মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে এভাবে কেটে যায় ৫ বছর তবুও মেলেটি সন্ধান।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ)বিকালে হঠাৎ বাড়িতে ফিরে আসে। ঘটনাটি নান্দাইল উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীর কামটখালী গ্রামে। তৌহিদুজ্জামান রিমন একই গ্রামের কামরুল ইসলাম ও খাদিজা আক্তার দম্পতির বড় পুত্র ৷ রিমনের ফিরে আসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি স্বজনদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। খবর পেয়ে শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসছেন রিমনকে একনজর দেখতে।

শনিবার (১১মার্চ) সকালে উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের কামটখালী গ্রামে রিমনের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় – রিমনের বাড়িতে শত-শত নারী পুরুষ নিখোঁজ হওয়া রিমনকে দেখতে ভীড় করেছে। অনেক দূর থেকে আত্নীয় -স্বজন বাড়িতে এসেছে। পরিবার আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে আনন্দ উৎসাহ বিরাজ করছে৷ ছেলে ফিরে এসেছে এমন খুশিতে রিমনের মা খাদিজা আক্তার আবেগে আপ্লুত হয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মায়ের এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত নারী পুরুষের চোঁখেও জল চলে আসে।

এদিকে রিমনের নিখোঁজের পরিবারে লোকজন আত্নীয় স্বজনের বাড়ি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। রিমনের দাদী নাতির জন্য আল্লাহ্ ঘরে নাতিকে ফিরে নিজের কানের ফুল, ৫শত টাকা মান্নত ও মোমবাতি মসজিদে দান করেন করে জানান দাদী রোকেয়া আক্তার।

তৌহিদুজ্জামান রিমন বলেন, আরবি পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে পারেনি। তাই মাদ্রাসা থেকে ৫ বছর আগে পালিয়ে গেছিলাম। পরে ঢাকায় একটি ব্যাগের কারখানায় ৫ মাস কাজ করেছি। সেখান থেকে পরে সেন্টমার্টিনে ছিলাম। পরিবারের কথা মনে পড়ে আর থাকতে পারেনি তাই বাড়িতে চলে এসেছি। তবে কি নিখোঁজের পর থেকে কোথায় কোথায় ছিলে তার কোন উত্তর দিতে রাজী হয়নি।

মা খাদিজা খাতুন বলেন- ছেলেটি নিখোঁজের পর থেকে আমি পাগলের মত অনেক জায়গায় খুঁজেছি। অনেক কবিরাজের কাছে গিয়েছি থানায় জিডিও করেছি তবুও সন্ধান পাইনি। এহন আমার বুকের ধন ছেলেটি ফিরে এসেছে আমি খুবই খুশি হয়েছি। রিমনের বাবা সৌদি চলে গেছে তিনিও ছেলে আসার সংবাদ শুনে খুশি হয়েছে৷

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, ৫ বছর আগে ছেলেটি নিখোঁজ হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরে রিমন বাড়িতে ফিরে এসেছে তার পরিবার এবং আমরা এলাকাবাসী খুব খুশি।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে বলেন- নিখোঁজ ছেলেটি পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে বিষয়টি জানি না। প্রধানমন্ত্রীর ডিউটিতে থাকায় কিছু বলতে পারছিনা। থানায় এসে খোঁজ নিব বিস্তারিত বলতে পারবো।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিখোঁজের ৫ বছর পর ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র

নিখোঁজের ৫ বছর পর ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র
নিখোঁজের ৫ বছর পর ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র

মাদ্রাসার আরবি পড়াশোনা ভাল না লাগায় এবং পড়াশোনার চাপে গত ৫ বছর আগে ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তৌহিদুজ্জামান রিমন(১৭) মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে যান। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি সন্ধান। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় রিমনের বাবা কামরুল ইসলাম নান্দাইল মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে এভাবে কেটে যায় ৫ বছর তবুও মেলেটি সন্ধান।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ)বিকালে হঠাৎ বাড়িতে ফিরে আসে। ঘটনাটি নান্দাইল উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীর কামটখালী গ্রামে। তৌহিদুজ্জামান রিমন একই গ্রামের কামরুল ইসলাম ও খাদিজা আক্তার দম্পতির বড় পুত্র ৷ রিমনের ফিরে আসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি স্বজনদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। খবর পেয়ে শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসছেন রিমনকে একনজর দেখতে।

শনিবার (১১মার্চ) সকালে উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের কামটখালী গ্রামে রিমনের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় – রিমনের বাড়িতে শত-শত নারী পুরুষ নিখোঁজ হওয়া রিমনকে দেখতে ভীড় করেছে। অনেক দূর থেকে আত্নীয় -স্বজন বাড়িতে এসেছে। পরিবার আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে আনন্দ উৎসাহ বিরাজ করছে৷ ছেলে ফিরে এসেছে এমন খুশিতে রিমনের মা খাদিজা আক্তার আবেগে আপ্লুত হয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মায়ের এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত নারী পুরুষের চোঁখেও জল চলে আসে।

এদিকে রিমনের নিখোঁজের পরিবারে লোকজন আত্নীয় স্বজনের বাড়ি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। রিমনের দাদী নাতির জন্য আল্লাহ্ ঘরে নাতিকে ফিরে নিজের কানের ফুল, ৫শত টাকা মান্নত ও মোমবাতি মসজিদে দান করেন করে জানান দাদী রোকেয়া আক্তার।

তৌহিদুজ্জামান রিমন বলেন, আরবি পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে পারেনি। তাই মাদ্রাসা থেকে ৫ বছর আগে পালিয়ে গেছিলাম। পরে ঢাকায় একটি ব্যাগের কারখানায় ৫ মাস কাজ করেছি। সেখান থেকে পরে সেন্টমার্টিনে ছিলাম। পরিবারের কথা মনে পড়ে আর থাকতে পারেনি তাই বাড়িতে চলে এসেছি। তবে কি নিখোঁজের পর থেকে কোথায় কোথায় ছিলে তার কোন উত্তর দিতে রাজী হয়নি।

মা খাদিজা খাতুন বলেন- ছেলেটি নিখোঁজের পর থেকে আমি পাগলের মত অনেক জায়গায় খুঁজেছি। অনেক কবিরাজের কাছে গিয়েছি থানায় জিডিও করেছি তবুও সন্ধান পাইনি। এহন আমার বুকের ধন ছেলেটি ফিরে এসেছে আমি খুবই খুশি হয়েছি। রিমনের বাবা সৌদি চলে গেছে তিনিও ছেলে আসার সংবাদ শুনে খুশি হয়েছে৷

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, ৫ বছর আগে ছেলেটি নিখোঁজ হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরে রিমন বাড়িতে ফিরে এসেছে তার পরিবার এবং আমরা এলাকাবাসী খুব খুশি।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে বলেন- নিখোঁজ ছেলেটি পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে বিষয়টি জানি না। প্রধানমন্ত্রীর ডিউটিতে থাকায় কিছু বলতে পারছিনা। থানায় এসে খোঁজ নিব বিস্তারিত বলতে পারবো।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত