কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠাল স্বাদে ও গন্ধে এক অনন্য ফল। কাঁঠাল পাকা ও কাঁচা দুইভাবেই খাওয়া যায়। এমনকি অনেকে কাঁঠালের ফুল ফুটে উঠার পর খেতেও পছন্দ করেন (মুচি)। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁঠালের বীজ খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। ফল আকারে বড় কাঁঠাল। কাঁচা কাঁঠাল দেখতে সবুজ মনোরম, পাকা সোনালী মনোরম। আপনি যদি আল্লাহ তায়ালার এই উপহারগুলি সম্পর্কে চিন্তা করেন তবে আপনি মাথা নত করা ছাড়া সাহায্য করতে পারবেন না।
সুবিধাদি:
১) বার্ধক্য বিরোধী: কাঁঠাল বার্ধক্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না। শরীরের ত্বক মসৃণ রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ-সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২) হজমশক্তি উন্নত করতে: কাঁঠাল দেখতে মানুষের পেটের মতো। তাই পেটের বিভিন্ন রোগ সারাতে কাঁঠাল উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে এবং অন্ত্রের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কাঁঠাল অ্যাসিডিটি ও আলসার প্রতিরোধে উপকারী।
৩) ওজন কমায়: কাঁঠালে চর্বি খুব কম। তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ার ভয় নেই। ভরা পেটে কাঁঠাল খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪) মানসিক চাপ কমাতে: কাঁঠাল খেলে মানসিক চাপ, টেনশন ও নার্ভাসনেস কমে যায় এবং মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।
৫) চিনি নিয়ন্ত্রণ: কাঁঠাল খনিজ ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৬) লিউকোসাইটের কার্যকারিতা বাড়ায়: কাঁঠালের ভিটামিন সি শরীরকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়িয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭) মাড়িকে শক্তিশালী করে: কাঁঠাল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় না। বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি ও ভেষজ খেয়ে এই অভাব পূরণ হয়। কাঁঠাল মাড়িকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮) শিশু স্বাস্থ্য: ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে মায়ের দুধের সাথে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা কমে যায় এবং শিশুর প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
৯) ক্লান্তি: অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর 3-4 চামচ কাঁঠালের রস আধা কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ক্লান্তি দূর হবে।15। ঘৃণা দূর করতে: ঘৃণা ফিরিয়ে আনতে 2-3 চামচ কাঁঠালের রস সামান্য দুধের সাথে মিশিয়ে নিন। কিন্তু শ্লেষ্মা বিমুখতায় কাজ করবে না।
১০) মায়ের পুষ্টিতে: প্রতিদিন 200 গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মা এবং তার অনাগত সন্তানের সব ধরনের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।22. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে: কাঁঠালে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং অন্যান্য উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১১) ত্বকের মসৃণতা: ত্বক সুন্দর ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত কাঁঠাল খান। কাঁঠাল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি ত্বককে করে তোলে আকর্ষণীয়। কাঁঠাল ত্বকের বলিরেখা দূর করে। কাঁঠাল সৌন্দর্য দীর্ঘায়িত করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খুব বেশি কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়। যদিও সবার সমস্যা হয় না, কিছু লোকের ডায়াবেটিস হয়। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী এবং যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো। কারণ কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম।