চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্বে থাকা ১৬ জনের পদত্যাগের এক দিন না পেরোতেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আরও তিনজন পদত্যাগ করেছেন।সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বলছেন, পদত্যাগের নেপথ্যে আছে নিয়োগসহ নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব। পদত্যাগ করা শিক্ষকরা বলছেন, উপাচার্য অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। উপচার্য বলছেন, নিয়োগের তদবির ও ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করতে পেরে তাঁরা হতাশ। এ জন্য পদত্যাগ করে দোষ চাপাচ্ছেন।
নতুন পদত্যাগ করা তিনজন হলেন পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব ও অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট সুমন বড়ুয়া।
প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করা কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন। অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁদের (শিক্ষকদের) দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি।
রবিবার(১২ মার্চ) পদত্যাগ করা প্রক্টর অধ্যাপক রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের (উপাচার্য) হয়ে শিক্ষক সমিতির ২০২১-২২ কমিটির নির্বাচনে ব্যাপক প্রচারণা চালাই। কিন্তু নির্বাচনের পর তিনি দাবিগুলো না মানায় আমরা সাধারণ শিক্ষক সমাজের কাছে লজ্জার পাত্র হই। এভাবে এই লজ্জা নিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেয়ে আমার কাছে পদত্যাগই শ্রেয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে ম্যাডামের (উপাচার্য) কাছে কয়েকবার গিয়েছিলাম। এসংক্রান্ত সব তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তিনি বারবার দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে আবার সেই আশ্বাস থেকে সরে গেছেন। কিন্তু শিক্ষকরা আমাদের ভুল বুঝতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত যখন দেখলাম অযথা কোনো দোষ না করেই আমাদের অবস্থান বিতর্কিত হচ্ছে, আমরা কয়েকজন সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’