ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর

,
ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
ছবি: ইন্টারনেট

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভাগে উদ্ভাবিত একটি শব্দ যা দিয়ে সে সকল খাবারকে বোঝানো হয় যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি তৈরি ও পরিবেশন করা যায়। ফাস্ট ফুড বলতে সেই খাবারগুলিকে বোঝানো হয় যা মূলত হোটেল-রেস্তোরাঁতে বিক্রি করা হয়। ১৯৫১ সালে ইংরেজি মরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ফাস্ট ফুড শব্দটি প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে। এই মুখরোচক খাবারগুলোতে চর্বি, লবন, কার্বনেট অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে। আর এসকল উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর__

ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টগুলো খাবার তৈরিতে ঘন ঘন হাইড্রোজেনযুক্ত তেল ব্যবহার করে। এই হাইড্রোজেনেটেড তেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করে। বাণিজ্যিকভাবে প্যাকেজকৃত খাবার বিশেষ করে চিপস এবং ক্র্যাকারগুলি হাইড্রোজেনেটেড তেলের তৈরি। তাই এসব খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত।

ফাস্টফুডে যেকোন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। এসব খাবার যেহেতু রাস্তার পাশে বেশী বিক্রি হয় এবং বহুসময় ধরে খাবার উপযোগী করে রাখার চেষ্টা করা হয়, তাই এতে জীবাণুর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এসব মিশ্রিত জীবাণু শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে নানা প্রকার রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া এসব খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও নষ্ট করে দেয়।

ফাস্টফুড খেলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন ত্বকের সতেজতা কমে যায়, মুখ শুষ্ক এবং খসখসে হয়ে পড়ে। এছাড়া ত্বকে ব্রণ, এলার্জি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যবিদরা বলেন, অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড গ্রহণের ফলে মানুষের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্থূলকায় হবার আশংকা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফাস্ট ফুড খাওয়ার জন্যই সারাবিশ্বে মোটা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। ফাস্টফুড খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

প্রতিনিয়ত চিনির মাত্রা ওঠানামা করার কারণে অগ্নাশয়ের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং ধীরে ধীরে ইনসুলিনের নিঃসরণের পরিমাণও হ্রাস পেতে থাকে। ফলাফল হিসাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হৃদরোগ, স্নায়ুজনিত ক্ষতি, কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফাস্ট ফুডে পরিমানের অধিক কার্বোহাইড্রেড বা শর্করা এবং চর্বি থাকায় দেহের মেদ বাড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত চর্বি জমতে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীর তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে। শরীরের এত এত ক্ষতির কারণ যখন একমাত্র ফাস্টফুড, সেক্ষেত্রে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা উচিত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর

ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
ছবি: ইন্টারনেট

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভাগে উদ্ভাবিত একটি শব্দ যা দিয়ে সে সকল খাবারকে বোঝানো হয় যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি তৈরি ও পরিবেশন করা যায়। ফাস্ট ফুড বলতে সেই খাবারগুলিকে বোঝানো হয় যা মূলত হোটেল-রেস্তোরাঁতে বিক্রি করা হয়। ১৯৫১ সালে ইংরেজি মরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ফাস্ট ফুড শব্দটি প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে। এই মুখরোচক খাবারগুলোতে চর্বি, লবন, কার্বনেট অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে। আর এসকল উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর__

ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টগুলো খাবার তৈরিতে ঘন ঘন হাইড্রোজেনযুক্ত তেল ব্যবহার করে। এই হাইড্রোজেনেটেড তেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করে। বাণিজ্যিকভাবে প্যাকেজকৃত খাবার বিশেষ করে চিপস এবং ক্র্যাকারগুলি হাইড্রোজেনেটেড তেলের তৈরি। তাই এসব খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত।

ফাস্টফুডে যেকোন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। এসব খাবার যেহেতু রাস্তার পাশে বেশী বিক্রি হয় এবং বহুসময় ধরে খাবার উপযোগী করে রাখার চেষ্টা করা হয়, তাই এতে জীবাণুর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এসব মিশ্রিত জীবাণু শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে নানা প্রকার রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া এসব খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও নষ্ট করে দেয়।

ফাস্টফুড খেলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন ত্বকের সতেজতা কমে যায়, মুখ শুষ্ক এবং খসখসে হয়ে পড়ে। এছাড়া ত্বকে ব্রণ, এলার্জি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যবিদরা বলেন, অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড গ্রহণের ফলে মানুষের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্থূলকায় হবার আশংকা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফাস্ট ফুড খাওয়ার জন্যই সারাবিশ্বে মোটা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। ফাস্টফুড খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

প্রতিনিয়ত চিনির মাত্রা ওঠানামা করার কারণে অগ্নাশয়ের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং ধীরে ধীরে ইনসুলিনের নিঃসরণের পরিমাণও হ্রাস পেতে থাকে। ফলাফল হিসাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হৃদরোগ, স্নায়ুজনিত ক্ষতি, কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফাস্ট ফুডে পরিমানের অধিক কার্বোহাইড্রেড বা শর্করা এবং চর্বি থাকায় দেহের মেদ বাড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত চর্বি জমতে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীর তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে। শরীরের এত এত ক্ষতির কারণ যখন একমাত্র ফাস্টফুড, সেক্ষেত্রে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা উচিত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত