বগুড়ায় মন্দিরে চুরি ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

,
বগুড়ায় মন্দিরে চুরি ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার
বগুড়ায় মন্দিরে চুরি ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মন্দিরে চুরির ঘটনায় ২ এপ্রিল রাতে সেলিম ও এমরান নামের বক্তিকে গ্রেফতার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ছোটধাপ গ্রামের মৃত মোসলেম প্রামাণিকের ছেলে মোঃ সেলিম প্রামাণিক (৩৮) এবং কাহালু উপজেলার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে মোঃ এমরান খন্দকার(২৪)। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, গত (৩১ মার্চ) দিবাগত রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চেঙ্গা পালপাড়া শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় মামলা হলে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা শুরু করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে চুরির রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। চুরির ঘটনায় জড়িত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণের চুড়ি উদ্ধার করে।

ওই রাতে চুরির উদ্দেশ্যে বাহিরে বের হয়ে ঘুরতে ঘুরতে তারা চেঙ্গা পালপাড়া গ্রামস্থ শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের বারান্দায় দান বাক্স দেখে তারা প্রথমে উক্ত বাক্সের তালা কেটে বাক্স থেকে নগদ ১,০০০/-টাকা চুরি করে। যেগুলোর মধ্যে ০৩টি ১০০ টাকার নোট, ০২টি ৫০ টাকার নোট ও বাকি গুলো ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট। পরে তারা একটি বাঁশ দিয়ে মন্দিরের পিছনের গ্রিলের পাতি ভেঙ্গে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে মন্দিরে রক্ষিত কালীমাতার প্রতিমার হাতে থাকা ৩টি স্বর্ণের চুড়ি চুরি করে নিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত সেলিমের কাছ থেকে ১টি চুড়ি উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত এমরানের হেফাজতে থাকা চুড়ি ২টি এমরান তার বাড়ির পাশে নদীতে ফেলে দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে এমরান পুলিশের নিকট দাবি করে যে, প্রতিমার হাত থেকে স্বর্ণে চুড়ি খুলতে গিয়ে সে দারুন ভাবে ভয় পেয়েছিল। এতে বাড়ি ফেরার পথেই তার প্রচুর জ্বর আসে। বাড়িতে ফিরে ভীষন অসুস্থ হয়। তখন তার মাকে ঘটনা খুলে বললে তার মা পাশের বাড়ির দাদিকে ডেকে ঝাড় ফুক করে নেন এবং স্বর্ণের চুড়ি গুলি নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলে দিতে বললে নদীতে ফেলে দেন।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘পুলিশ সুপার মহোদয় সহ জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষনিক তদন্ত কার্যক্রম তদারকি করায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদেরকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আজ তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চুরি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছিল। তাদেরকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করায় স্বল্পতম সময়ে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপরাধীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় সে বিষয়ে জেলা পুলিশ সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে। ধর্মীয় সম্প্রতি সৌহার্দ্য যাতে বজায় থাকে সে জন্য বগুড়া জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।’

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বগুড়ায় মন্দিরে চুরি ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ায় মন্দিরে চুরি ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার
বগুড়ায় মন্দিরে চুরি ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মন্দিরে চুরির ঘটনায় ২ এপ্রিল রাতে সেলিম ও এমরান নামের বক্তিকে গ্রেফতার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ছোটধাপ গ্রামের মৃত মোসলেম প্রামাণিকের ছেলে মোঃ সেলিম প্রামাণিক (৩৮) এবং কাহালু উপজেলার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে মোঃ এমরান খন্দকার(২৪)। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, গত (৩১ মার্চ) দিবাগত রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চেঙ্গা পালপাড়া শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় মামলা হলে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা শুরু করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে চুরির রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। চুরির ঘটনায় জড়িত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণের চুড়ি উদ্ধার করে।

ওই রাতে চুরির উদ্দেশ্যে বাহিরে বের হয়ে ঘুরতে ঘুরতে তারা চেঙ্গা পালপাড়া গ্রামস্থ শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের বারান্দায় দান বাক্স দেখে তারা প্রথমে উক্ত বাক্সের তালা কেটে বাক্স থেকে নগদ ১,০০০/-টাকা চুরি করে। যেগুলোর মধ্যে ০৩টি ১০০ টাকার নোট, ০২টি ৫০ টাকার নোট ও বাকি গুলো ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট। পরে তারা একটি বাঁশ দিয়ে মন্দিরের পিছনের গ্রিলের পাতি ভেঙ্গে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে মন্দিরে রক্ষিত কালীমাতার প্রতিমার হাতে থাকা ৩টি স্বর্ণের চুড়ি চুরি করে নিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত সেলিমের কাছ থেকে ১টি চুড়ি উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত এমরানের হেফাজতে থাকা চুড়ি ২টি এমরান তার বাড়ির পাশে নদীতে ফেলে দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে এমরান পুলিশের নিকট দাবি করে যে, প্রতিমার হাত থেকে স্বর্ণে চুড়ি খুলতে গিয়ে সে দারুন ভাবে ভয় পেয়েছিল। এতে বাড়ি ফেরার পথেই তার প্রচুর জ্বর আসে। বাড়িতে ফিরে ভীষন অসুস্থ হয়। তখন তার মাকে ঘটনা খুলে বললে তার মা পাশের বাড়ির দাদিকে ডেকে ঝাড় ফুক করে নেন এবং স্বর্ণের চুড়ি গুলি নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলে দিতে বললে নদীতে ফেলে দেন।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘পুলিশ সুপার মহোদয় সহ জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষনিক তদন্ত কার্যক্রম তদারকি করায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদেরকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আজ তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চুরি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছিল। তাদেরকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করায় স্বল্পতম সময়ে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপরাধীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় সে বিষয়ে জেলা পুলিশ সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে। ধর্মীয় সম্প্রতি সৌহার্দ্য যাতে বজায় থাকে সে জন্য বগুড়া জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।’

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত