আর কদিন পরই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগেই ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বসল অস্ট্রেলিয়া! আজ বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড ৮ রানে হারিয়েছে জশ বাটলারের দলকে। প্রথম ম্যাচেও ৮ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ডেভিড মালান ও বোলার স্যাম কারানের নৈপুণ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তারা সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলল।
ক্যানবেরাতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে দলকে ১৩২ রানের সূচনা এনে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অধিনায়ক জশ বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। আজ তারা ২১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাটলারকে ১৭ রানে বিদায় দেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। হেলস সুবিধা করতে পারেননি। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিসের শিকার হন তিনি। ,৩১ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইংলিশদের মিডল অর্ডারেও চাপ সৃষ্টি করে অস্ট্রেলিয়া। ,বেন স্টোকসকে ৭ রানে স্পিনার এডাম জাম্পা ও হ্যারি ব্রুককে ১ রানে শিকার ফেরান স্টয়নিস।
৫৪ রানে নেই ৪ উইকেট! এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান ও মঈন আলি। ৩১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন মালান। ২৭ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করা মঈনকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। পঞ্চম উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯২ রান যোগ করেন। ,ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন ৫৫ রানে জীবন পাওয়া মালান। তবে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বল খেলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৮২ রান। ,২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। স্টয়নিস ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। ২২ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নের ফিরেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৪) ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (১৩)। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। এতে অষ্টম ওভারে ৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাচাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ ও স্টয়নিস। চতুর্থ উইকেটে স্টয়নিকে নিয়ে ২৩ বলে ৪০ ও পঞ্চম উইকেটে টিম ডেভিডকে নিয়ে ১৬ বলে ২৩ রান তুলেন মার্শ। স্টয়নিস ১৩ বলে ২২ রান করে কারানের শিকার হন। ২৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান করা মার্শকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরান বেন স্টোকস।
ওই সময় জয়ের জন্য ৩৬ বলে ৬৫ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। উইকেটে ছিলেন টিম ডেভিড এবং ম্যাথু ওয়েড। এসময় ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে উঠেন ডেভিড। তার ১৮তম ওভারের ভয়ংকর রুপে থাকা ডেভিডকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে দারুন এক ব্রেক-থ্রু এনে দেন কারান। ২৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন ডেভিড। ডেভিড ফেরার পর পরের ১০ বলে কোন বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিল না অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে। শেষ ওভারে ২২ রানের দরকার ছিল। সেই হিসাব আরে মেলেনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রান করে অজিরা। ৮ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেভিড মালান।