মাদারীপুরে একটি বিদ্যালয়ের ফ্যান খুলে পড়ে পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে সদর উপজেলা কেন্দুয়া ইউনিয়নপর পশ্চিম কলাগাছিয়া এসিনর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত ছাত্রীদেরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো দশম শ্রেণির হিরামনী, মুনা আক্তার, ইরিনা আক্তার, সাইমা জাহান। এরা সবাই হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ইরিনা আক্তার ও সাইমা জাহান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাসায় ফিরে গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুলের ক্লাস অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরিক্ষার শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ঘন্টা দিলে আমরা পরিক্ষার কক্ষে গিয়ে বসি তখন হঠাৎ বিকট শব্দে আমাদের উপর সিলিং ফ্যান খুলে মাথায় পড়ে আমারা চার থেকে পাঁচজন ছাত্রী আহত হয়েছে। এরপরে কি হয়েছে তা আমি আর বলতে পারি না। তাৎক্ষণিক আহতদের চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে হীরামনীর বেশ অসুস্থ। এতে তার সেলাই দিতে হয়েছে। অন্যরা হাতে ও পিঠে আঘাত লেগেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আহত শিক্ষার্থী হিরামনীর নানা সামচুল হক মোল্লা বলেন, আমার নাতি খুবই অসুস্থ। তার কপালে আঘাত লেগেছে। সে অনেক অসুস্থ ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। আমি এটি মানতে পারতেছি না। কী আজব ঘটনা! একটি বেসরকারি স্কুলের ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত হবে, এটা ভাবা যায়? মাদারীপুর একটি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সিলিং ফ্যান পড়ে চার ছাত্রী আহত হয়েছে।
আহত মুনার বাবা ইদ্রিস মাতুব্বর বলেন, আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। তার হাতে ও মাথায় অনেক আঘাত লেগেছে। আমি এটি মানতে পারতেছি না। কী আজব ঘটনা! একটি বেসরকারি স্কুলের ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত হবে, এটা ভাবা যায়? এই ঘটনা শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে ঘটেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তি রঞ্জন মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ঘন্টা দিলে দোওয়া হয়। তারপরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তাদের উপর ফ্যান পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তাদের কি অবস্থা সেটা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি কোন অভিযোগ থাকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।