গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চাপাইর এলাকা থেকে বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় শৌচাগার থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চাপাইর পূর্বপাড়া গ্রামের সৌরভ আহমেদের স্ত্রী ও একই এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার( ১৯) । এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সৌরভ আহমেদ পালাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়,বছর খানেক আগে সৌরভের সাথে একই গ্রামের ঝর্ণা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে নানা সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে আসছিল।এদিকে পারিবারিক কলহের জেরে বধুবার স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর স্বামী সৌরভ তার নিজ বসত ঘরে ঘুমায়। বিকেলের দিকে স্বামী ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোজাঁখুজি করে। কোথাও না পেয়ে এক পর্যায়ে শৌচাগারের ভেতর গিয়ে দেখতে পায় বাঁশের আড়ার সাথে স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। ঝুলন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখে স্বামী ডাক-চিৎকার করে। পরে বাড়ী ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সৌরভ সুকৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশ ও ঝর্ণার বাবার পরিবারের সদস্যদের জানান। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আনোয়ার হোসেন (পিপিএম) বলেন, খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ির শৌচাগার থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা, সেটা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন ।