প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন শপথ নিয়েছেন। এসময় তার সাথে থাকা ছেলে জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করেন বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নবনির্বাচিত সিটি করপোরেশনের মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত গাজীপুরের একাধিক কাউন্সিলর জানান, শপথ অনুষ্ঠান শেষে জাহাঙ্গীর আলমকে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করতে দেখেছেন। এ সময় তাকে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কিছু বলতেও দেখা যায়। তবে প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীরের কথার জবাব দিয়েছেন কি না সেটি দূর থেকে বোঝা যায়নি। তবে এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, শপথ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ফটোসেশনে অংশ নেন। গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় জাহাঙ্গীর আলমকেও সেখানে দেখা যায়।
ছবির প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং মেয়র জায়েদা খাতুন ছিলেন।
দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে অন্য একটি ছবিতে জাহাঙ্গীর আলমকে চতুর্থ সারিতে দেখা গেছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের ছবিতে দেখা যায়, শপথ অনুষ্ঠানে জায়েদা খাতুনের পাশে বসে আছেন জাহাঙ্গীর আলম। এমনকি দেখা গেছে মা যখন শপথ নিচ্ছিলেন তখন মাইক ধরে তাকে সহযোগিতা করছেন জাহাঙ্গীর।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েই মূলত জাহাঙ্গীর তার মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেছিলেন। পরে মায়ের পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে কার্যত আজমত উল্লার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাহাঙ্গীর।
মায়ের পক্ষে দিনরাত প্রচার চালিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আজমত উল্লাও নির্বাচনী প্রচারে যা বলেছেন, এর প্রায় সবই ছিল জাহাঙ্গীরকেন্দ্রিক। ভোটে আজমত উল্লার হেরে যাওয়াকে জাহাঙ্গীরের জয় বলেই উল্লেখ করছেন তার অনুসারীরা।
গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জায়েদা খাতুন ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেন। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
