বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। তারা অংশগ্রহণমূলক কোনো নির্বাচনের কোনো কথা তারা বলেননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময়ের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্র) প্রতিনিধিরা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অভাব ও নিরপেক্ষ হবে প্রত্যাশা করেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো কথা তারা বলেননি।”
বিএনপি “মিথ্যা তথ্য” দিয়ে বিদেশিদের কাছে সমর্থন চেয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সবাই একমত যে, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করবো।”
বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “বিএনপি জানে না তাদের দফা কয়টা, দল কয়টা। একবার দেখলাম ৫৪টা, আবার দেখলাম ৩২টা। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৭ দল। তারা ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের তোড়জোড় করছে। বাস্তবতা হলো- গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তাদের কতটা অবনতি হয়েছে, তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে চারদিনের সফরে ১১ জুলাই ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া। নির্বাচন, মানবাধিকার, শ্রমিক অধিকার, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়গুলো রয়েছে তার আলোচ্যসূচিতে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দলও এখন বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে সংস্থাটি পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি-না, সেটি এ দলের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে।
