ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে নিহত ৩২৪

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে নিহত ৩২৪
সড়ক দুর্ঘটনা

এ বছরের ঈদ-উল-আজহায় আগে-পরে ১৫ দিনে (২৩ জুন-৭ জুলাই পর্যন্ত) সারাদেশে সড়কপথে সর্বমোট ৩০৩টি দুর্ঘটনায় ৩২৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৬৩১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬১ জন নারী ও ৭২টি শিশু রয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা দুর্ঘটনায় ৬৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১.২৯%। অন্যদিকে যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৭ জন, অর্থাৎ ১৪.৫০%।

এছাড়া, ঈদযাত্রার আগে-পরোর ১৫ দিনে ১৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, ২৬ জন আহত এবং ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে একই সময় রেলপথে ২৭টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।

বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১১৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.৬১%। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩২.৭১%। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫২.৮৩% এর বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।

দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব দুর্ঘটনায় নিহতদের ১০৬ জন (৩২.৭১%) মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী, বাস যাত্রী ১০ জন (৩.০৮%), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২৪ জন (৭.৪০%), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ২৫ জন (৭.৭১%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৭০ জন (২১.৬০%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র) ১১ জন (৩.৩৯%) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ৯ জন (২.৭৭%) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩১টি (৪৩.২৩%) জাতীয় মহাসড়কে, ১১৫টি (৩৭.৯৫%) আঞ্চলিক সড়কে, ৩৭টি (১২.২১%) গ্রামীণ সড়কে এবং ২০টি (৬.৬০%) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫৭টি (১৮.৮১%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪৯টি (৪৯.১৭%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৭২টি (২৩.৭৬%) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ২৫টি (৮.২৫%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করার কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৯১ টি। এর মধ্যে বাস ৯৭টি, ট্রাক ৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ১৫টি, পিকআপ ভ্যান ৩৮টি, র‌্যাবের পিকআপ ১টি, ট্রাক্টর ৭টি, ট্রলি ৮টি, লরি ৩টি, তেলবাহী ভাউচার ১টি, লং ভেহিক্যাল ১টি, মাইক্রোবাস ১৮টি, প্রাইভেটকার ১৬টি, অ্যাম্বুলেন্স ৬টি, পাজেরো ৩টি, জীপ ২টি, মোটরসাইকেল ১২২টি, থ্রি-হুইলার ১১৮টি (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-ম্যাক্সি), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৫২টি (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা-স্টীয়ারিং গাড়ি), বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ১৬টি এবং অজ্ঞাত গাড়ি ৯টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরে ৪.৯৫%, সকালে ৩০.০৩%, দুপুরে ১৯.১৪%, বিকালে ২০.১৩%, সন্ধ্যায় ৬.২৭% এবং রাতে ১৯.৪৭% দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে নিহত ৩২৪

ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে নিহত ৩২৪
সড়ক দুর্ঘটনা

এ বছরের ঈদ-উল-আজহায় আগে-পরে ১৫ দিনে (২৩ জুন-৭ জুলাই পর্যন্ত) সারাদেশে সড়কপথে সর্বমোট ৩০৩টি দুর্ঘটনায় ৩২৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৬৩১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬১ জন নারী ও ৭২টি শিশু রয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা দুর্ঘটনায় ৬৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১.২৯%। অন্যদিকে যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৭ জন, অর্থাৎ ১৪.৫০%।

এছাড়া, ঈদযাত্রার আগে-পরোর ১৫ দিনে ১৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, ২৬ জন আহত এবং ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে একই সময় রেলপথে ২৭টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।

বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১১৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.৬১%। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩২.৭১%। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫২.৮৩% এর বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।

দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব দুর্ঘটনায় নিহতদের ১০৬ জন (৩২.৭১%) মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী, বাস যাত্রী ১০ জন (৩.০৮%), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২৪ জন (৭.৪০%), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ২৫ জন (৭.৭১%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৭০ জন (২১.৬০%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র) ১১ জন (৩.৩৯%) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ৯ জন (২.৭৭%) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩১টি (৪৩.২৩%) জাতীয় মহাসড়কে, ১১৫টি (৩৭.৯৫%) আঞ্চলিক সড়কে, ৩৭টি (১২.২১%) গ্রামীণ সড়কে এবং ২০টি (৬.৬০%) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫৭টি (১৮.৮১%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪৯টি (৪৯.১৭%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৭২টি (২৩.৭৬%) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ২৫টি (৮.২৫%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করার কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৯১ টি। এর মধ্যে বাস ৯৭টি, ট্রাক ৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ১৫টি, পিকআপ ভ্যান ৩৮টি, র‌্যাবের পিকআপ ১টি, ট্রাক্টর ৭টি, ট্রলি ৮টি, লরি ৩টি, তেলবাহী ভাউচার ১টি, লং ভেহিক্যাল ১টি, মাইক্রোবাস ১৮টি, প্রাইভেটকার ১৬টি, অ্যাম্বুলেন্স ৬টি, পাজেরো ৩টি, জীপ ২টি, মোটরসাইকেল ১২২টি, থ্রি-হুইলার ১১৮টি (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-ম্যাক্সি), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৫২টি (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা-স্টীয়ারিং গাড়ি), বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ১৬টি এবং অজ্ঞাত গাড়ি ৯টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরে ৪.৯৫%, সকালে ৩০.০৩%, দুপুরে ১৯.১৪%, বিকালে ২০.১৩%, সন্ধ্যায় ৬.২৭% এবং রাতে ১৯.৪৭% দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত