দেশের আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। গত ১০ বছরে দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার, ২০১৩ সালে যা ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার জন।
বুধবার (১৯ জুলাই) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এই জরিপের কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা গেছে, দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ৪৯ লাখ শিশু বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশের শিশু আইন-২০১৩ অনুসারে, অনুর্ধ্ব ১৮ (আঠারো) বছর বয়স পর্যন্ত সবাই শিশু হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এ বলা হয়েছে, শিশুদের ন্যূনতম বয়স ১৪ বছর। এর কম বয়সীদের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। শিশুর অভিভাবক কাজ করানোর জন্য কারও সঙ্গে কোনো প্রকার চুক্তি করতে পারবেন না।
তবে, এই আইনের প্রয়োগ তেমন একটা নেই বললেই চলে। দেশের সব সেক্টরেই শিশুরা পরিবারের প্রয়োজনে শুমে যুক্ত হচ্ছে।
বুধবার প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ বলছে, দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫ জন। ২০১৩ সালে তা ছিল ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৪ জন।
তাদের মধ্যে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ শিশু শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২১২ জন। দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়া শিশুর সংখ্যা কমেছে। ২০১৩ সালে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়া শিশুর ছিল ১২ লাখ ৮০ হাজার।