মাদারীপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মাসুদ রেজা ফিরোজী জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর
মাদারীপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মাদারীপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম ছিলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, পশ্চিম ছিলারচর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ইউনুস ফকিরের ছেলে ইমান ফকির (৪০), রহমানের খানের ছেলে সালাউদ্দিন খান (৩২), সোনাই শিকদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন শিকদার (৪৫), কালাই শিকদার (৪৩), ইসমাইল মাতুব্বরের স্ত্রী রানু (৫৫), মাইদুল শিকদারের স্ত্রী রিনা (২৮), ইউনুস ফকিরের স্ত্রী সুরাতন বেগম (৫০), রাজ্জাক ঘরামীর স্ত্রী রাহাতন নেশা (৬৫), লেলালউদ্দীনের ছেলে আজাহার শিকদার (৪৫), আমজেদ শিকদারের মহিবুল (৩৫), নজরুল ইসলামের ছেলে সেলিম (৩০), ফোরকান ফকির (৩৬), আজহার শিকদার (৫৫), রবিন শিকদার(৩২) ও রুবেল মাতুব্বর (৩৭)। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে ।

ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানা যায় গেছে, সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম ছিলারচর এলাকার মিজান শিকদারের স্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসার করাতে আসেন। শুক্রবার সকালে মিজান শিকদার তার দোকানে চলে আসে। বাড়িতে তার ১২ বছরের মেয়ে একা রান্না করছিল । এসময়ে শাহাবুদ্দিন শিকদারের ছেলে শামীম ওই মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায় ওই মেয়ে ধস্তাধস্তি করার পরে ঘর থেকে বেড়িয়ে এলে তার চাচী এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির মধেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদিকে আহত সুরাতন নেসার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে বাসায় একা ছিল। এই সুযোগে আমার প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শিকদার ছেলে শামীম শিকদার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করলে তার চাচি তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সিহাব বলেন, সকালে মারামারি করে আহতাবস্থায় অনেক রোগী হাসপাতালে এসেছিল, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মাদারীপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মাদারীপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মাদারীপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম ছিলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, পশ্চিম ছিলারচর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ইউনুস ফকিরের ছেলে ইমান ফকির (৪০), রহমানের খানের ছেলে সালাউদ্দিন খান (৩২), সোনাই শিকদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন শিকদার (৪৫), কালাই শিকদার (৪৩), ইসমাইল মাতুব্বরের স্ত্রী রানু (৫৫), মাইদুল শিকদারের স্ত্রী রিনা (২৮), ইউনুস ফকিরের স্ত্রী সুরাতন বেগম (৫০), রাজ্জাক ঘরামীর স্ত্রী রাহাতন নেশা (৬৫), লেলালউদ্দীনের ছেলে আজাহার শিকদার (৪৫), আমজেদ শিকদারের মহিবুল (৩৫), নজরুল ইসলামের ছেলে সেলিম (৩০), ফোরকান ফকির (৩৬), আজহার শিকদার (৫৫), রবিন শিকদার(৩২) ও রুবেল মাতুব্বর (৩৭)। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে ।

ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানা যায় গেছে, সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম ছিলারচর এলাকার মিজান শিকদারের স্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসার করাতে আসেন। শুক্রবার সকালে মিজান শিকদার তার দোকানে চলে আসে। বাড়িতে তার ১২ বছরের মেয়ে একা রান্না করছিল । এসময়ে শাহাবুদ্দিন শিকদারের ছেলে শামীম ওই মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায় ওই মেয়ে ধস্তাধস্তি করার পরে ঘর থেকে বেড়িয়ে এলে তার চাচী এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির মধেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদিকে আহত সুরাতন নেসার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে বাসায় একা ছিল। এই সুযোগে আমার প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শিকদার ছেলে শামীম শিকদার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করলে তার চাচি তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সিহাব বলেন, সকালে মারামারি করে আহতাবস্থায় অনেক রোগী হাসপাতালে এসেছিল, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত