জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে৷ এর মধ্যে নামীয় ২৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। চার জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই)আবু শরীফ বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাড়ি ভাংচুর,গাড়িতে অগ্নিসংযোগ,পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি,খাদ্য গুদামে অগ্নিসংযোগ,সরকারকে বিব্রত করা,ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও নাশকতার লক্ষে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নিলাক্ষিয়া আর.জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি ও জামাতের ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী সমবেত হয়। খবর পেয়ে অভিযান চালায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান মাহা আলমসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার বিকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে তারা হল নিলাক্ষিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার সিপার উদ্দিনের ছেলে মইজ উদ্দিন ওরফে নজি মিয়া (৬০),ছালাম মিয়ার ছেলে আসলাম মিয়া (৬০) ও পাখি মিয়ার ছেলে উকিল মিয়া (৪০), উত্তরপাড়া এলাকার মুনতাজুল হকের ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান (৩৫)। এই ঘটনায় এস আই আবু শরীফ বাদি হয়ে নামীয় ২৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
মামলার বাদি এস আই আবু শরীফ বলেন,অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ককটেল উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সোহেল রানা বলেন,নাশকতার পরিকল্পনা কালে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।