ঢাবির কোয়ার্টারে ঝুলছিল সুখির মরদেহ

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ঢাবির কোয়ার্টারে ঝুলছিল সুখির মরদেহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হল। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহিদুল্লাহ হলের স্টাফ কোয়ার্টারে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বামীর দাবি, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সুখি আক্তারকে (২৬) উদ্ধার করে তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সুখি আক্তার পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল এলাকার শানু হাওলাদারের মেয়ে। তার স্বামী ঢাবির গ্রন্থাগারের অফিস সহায়ক ঝন্টু মৃধা।

হাসপাতালে তার স্বামী ঝন্টু মৃধা জানান, ২০১৬ সাল থেকে তারা শহিদুল্লাহ হলের স্টাফ কোয়ার্টারে টিনশেড ঘরে থাকেন। পাঁচ মাস আগে তাদের যমজ ছেলে সন্তান হয়। তবে জন্মের ৫-৬ দিন পর এক সন্তান মারা যায়। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সুখি। হতাশাগ্রস্ত সুখিকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল।

ঝন্টু আরও জানান, সকাল ৬টার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠলে সুখি তাকে বলেন, তার শরীর খারাপ লাগছে। দোকান থেকে তার জন্য খাবার স্যালাইন আনতে। তখন ঝন্টু তার কথামত দোকানে যান স্যালাইন আনতে। স্যালাইন কিনে ১০ মিনিট পর বাসায় ফিরে দেখেন, ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন সুখি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঢাবির কোয়ার্টারে ঝুলছিল সুখির মরদেহ

ঢাবির কোয়ার্টারে ঝুলছিল সুখির মরদেহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হল। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহিদুল্লাহ হলের স্টাফ কোয়ার্টারে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বামীর দাবি, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সুখি আক্তারকে (২৬) উদ্ধার করে তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সুখি আক্তার পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল এলাকার শানু হাওলাদারের মেয়ে। তার স্বামী ঢাবির গ্রন্থাগারের অফিস সহায়ক ঝন্টু মৃধা।

হাসপাতালে তার স্বামী ঝন্টু মৃধা জানান, ২০১৬ সাল থেকে তারা শহিদুল্লাহ হলের স্টাফ কোয়ার্টারে টিনশেড ঘরে থাকেন। পাঁচ মাস আগে তাদের যমজ ছেলে সন্তান হয়। তবে জন্মের ৫-৬ দিন পর এক সন্তান মারা যায়। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সুখি। হতাশাগ্রস্ত সুখিকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল।

ঝন্টু আরও জানান, সকাল ৬টার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠলে সুখি তাকে বলেন, তার শরীর খারাপ লাগছে। দোকান থেকে তার জন্য খাবার স্যালাইন আনতে। তখন ঝন্টু তার কথামত দোকানে যান স্যালাইন আনতে। স্যালাইন কিনে ১০ মিনিট পর বাসায় ফিরে দেখেন, ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন সুখি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত