যৌন হেনস্তার অভিযোগে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার প্রতিযোগীরা।
আইনজীবীর বরাতে বুধবার (৯ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৩ আগস্ট আয়োজকরা “শারীরিক পরীক্ষার” কথা বলে প্রতিযোগীদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেন। অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাদের শরীরে হাত দেওয়া হয় এবং সেই ঘটনার দৃশ্যধারণ করে রাখে কর্তৃপক্ষ।
একজন প্রতিযোগী জানান, আয়োজকরা তাদের শরীরের দাগ এবং ট্যাটু পরীক্ষার কথা বলেন। এই প্রতিযোগী মনে করেন, এ ঘটনায় তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
“এটি আমাকে মানসিকভাবে অস্বস্তি দিচ্ছে। আমার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে।”
এই সপ্তাহের শুরুতে কয়েকজন প্রতিযোগী বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। সংবাদমাধ্যম তাদের মুখ ঝাপসা করে তা প্রচার করেছে।
মেলিসা অ্যাংগ্রেনি নামে এক আইনজীবী জানান, তিনি তিনজন প্রতিযোগীর হয়ে লড়ছেন। তিনি মনে করেন, ক্রমে বিষয়টি নিয়ে সব প্রতিযোগীই মুখ খুলবেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে একজন প্রতিযোগী বলেন, “একটি বন্ধ ঘরে তাদের শরীর পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে ঘরের দরজা পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। বাইরে থেকেও কেউ চাইলে ভেতরের দৃশ্য দেখতে পারতেন। সেখানে কয়েকজন পুরুষও ছিলেন।”
জাকার্তার পুলিশ জানায়, মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার প্রতিযোগীরা আয়োজকদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
মিস ইউনিভার্সের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতোমধ্যেই এমন অভিযোগের কথা তারা শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তারা।
গ্লোবাল মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যৌন হেনস্তার অভিযোগকে তারা গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকে। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ যেন সুরক্ষিত হয়, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও লক্ষ্য।
সাবেক মিস ইন্দোনেশিয়া মারিয়া হারফান্তি বলেন, “শরীর পরীক্ষা করার ঘটনা স্বাভাবিক। তবে কখনোই প্রতিযোগীদের ‘নগ্ন’ হতে বলা হয় না। শারীরিক নানা বিষয় নিয়ে প্রতিযোগীদের শুধু প্রশ্ন করা হয়।”
মিস ইউনিভার্সের এটি ৭৩তম সংস্করণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে এই প্রতিযোগিতা বেশ জনপ্রিয়। যিনি মিস ইউনিভার্স হন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।