আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। রোববার বিকালে দায়সারা ভাবে জব্বাগঞ্জ বাজারে মোফাজ্জল মাষ্টারের কাপড়ের দোকানে বসে প্রস্তুতি সভা করে দলের নেতাকর্মীরা। দেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল ও ক্ষমতাসীন দলের ইউনিয়ন শাখার নেতাকর্মীদের এমন কর্মকান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কতৃক আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর সবুজ। সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আলীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ,মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান,ক্রীড়া সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। এ সময় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আলী বলেন,নিজস্ব কোন কার্যালয় নেই আওয়ামীলীগের। জব্বারগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির একটি ঘর আছে, সেখান থেকেই আসলে কার্যক্রম পরিচালনা হয়। ঘরের শার্টার না থাকায় ও পরিবেশ ভালো না থাকার কারনে কাপড়ের দোকানে প্রস্তুতি সভা করতে হয়েছে। তবে সেই দোকানটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয় বলে দাবি তার।
এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর সবুজ বলেন,মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের স্থায়ী কোন কার্যালয় নেই। তাই সেখানে বসে প্রস্তুতি সভা করেছি। তবে সেটি কাপড়ের দোকান হলেও আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয় বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য,২০১৪ সালে হুমায়ুন কবীর সবুজকে সভাপতি ও ইলিয়াস আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ ৯ বছরেও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি কার্যালয় করতে পারেনি তারা। যেখানে সেখানে বসেই দ্বায়সারা ভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়।