তারুণ্যের ভাবনায় শোক দিবস

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
তারুণ্যের ভাবনায় শোক দিবস

আজ ইতিহাসের সর্বোচ্চ কলঙ্কময় দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এই দিনের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে হত্যা করে পথভ্রষ্ট সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা শুরু হয়। শোকের এই দিনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরছেন মোঃ জনি শিকদার।

এই দিনে হারিয়েছি আমরা জাতির পিতাকে

আজ ১৫ ই আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালী জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাংলার ইতিহাসের রাখাল রাজা, যার জন্ম না হলে বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা করে উড়তে পারতো না, বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল বিপথগামী পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা। সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাসা জাতির পিতার  ও তার পরিবারের সদস্যদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। আজ এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের  জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

রবিউল ইসলাম নাঈম
৩য় বর্ষ, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদ

 

আজ বাংলার সূর্য সন্তানের মৃত্যুর দিন

১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে  ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের এক বেদনাময় দিন। এই দিনে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বপ্রিয় নেতা, স্বাধীনতার ঘোষক, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সপরিবারে বিপথগামী কতিপয় সেনা সদস্যের আতর্কিত হামলায় নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হন। এক নিমিষেই হারিয়ে যান বাঙ্গালী জাতির মুক্তির আন্দোলনের মহানায়ক,  জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ১৬ জন সদস্য। দেশের বাহিরে থাকায় বেঁচে যান পরিবারের জেষ্ঠ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।  এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের শাসন ব্যবস্থা পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য চলে যায় সেনা শাসনের অধীনে। দেশের এই প্রিয় পুত্র ও স্বাধীন বাংলার স্বপ্নের বীজ বুননকারী নেতার মৃত্যুকে শোকের সাথে স্মরণ করার জন্য জাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো আরও ৫ বছর। সেই থেকে বাঙালীর হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ,  নিরন্তর প্রেরণার চিরন্তন উৎস এই সূর্য সন্তানের মৃত্যুর দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে গোটা দেশবাসী। দিনটি সরকারি ছুটি থাকে এবং নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়।

মুনিয়া রহমান জান্নাত
২য় বর্ষ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ

 

নশ্বর এ পৃথিবীতে তিনি অবিনশ্বর

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাংলার ইতিহাসে এক নৃশংস দিনের স্বাক্ষী এই আগষ্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্য । জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে সকল শহীদকে। একটি রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বাঙ্গালী জাতির প্রেরণার উৎস। যার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার যে ডাক দিয়েছিলেন তা ছিল অবিস্মরণীয়। সেদিন তাঁর বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার এই অবিস্মরণীয় ভাষণে বাঙ্গালী জাতি উদ্ভুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে এবং পরাধীন ও শোষিত দেশকে পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্ত করে। যার অবদানের জন্য আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। দেশ স্বাধীন  হলেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে চুড়ান্ত রূপরেখার প্রকাশ ঘটায়। এই হত্যা কান্ডের মধ্যে দিয়ে বাঙ্গালী হারায় তাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাকে। তিনি বেচে রইবেন ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে।

আবু হুরায়রা

২য় বর্ষ, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদ

 

লেখক- শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারুণ্যের ভাবনায় শোক দিবস

তারুণ্যের ভাবনায় শোক দিবস

আজ ইতিহাসের সর্বোচ্চ কলঙ্কময় দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এই দিনের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে হত্যা করে পথভ্রষ্ট সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা শুরু হয়। শোকের এই দিনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরছেন মোঃ জনি শিকদার।

এই দিনে হারিয়েছি আমরা জাতির পিতাকে

আজ ১৫ ই আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালী জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাংলার ইতিহাসের রাখাল রাজা, যার জন্ম না হলে বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা করে উড়তে পারতো না, বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল বিপথগামী পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা। সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাসা জাতির পিতার  ও তার পরিবারের সদস্যদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। আজ এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের  জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

রবিউল ইসলাম নাঈম
৩য় বর্ষ, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদ

 

আজ বাংলার সূর্য সন্তানের মৃত্যুর দিন

১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে  ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের এক বেদনাময় দিন। এই দিনে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বপ্রিয় নেতা, স্বাধীনতার ঘোষক, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সপরিবারে বিপথগামী কতিপয় সেনা সদস্যের আতর্কিত হামলায় নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হন। এক নিমিষেই হারিয়ে যান বাঙ্গালী জাতির মুক্তির আন্দোলনের মহানায়ক,  জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ১৬ জন সদস্য। দেশের বাহিরে থাকায় বেঁচে যান পরিবারের জেষ্ঠ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।  এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের শাসন ব্যবস্থা পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য চলে যায় সেনা শাসনের অধীনে। দেশের এই প্রিয় পুত্র ও স্বাধীন বাংলার স্বপ্নের বীজ বুননকারী নেতার মৃত্যুকে শোকের সাথে স্মরণ করার জন্য জাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো আরও ৫ বছর। সেই থেকে বাঙালীর হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ,  নিরন্তর প্রেরণার চিরন্তন উৎস এই সূর্য সন্তানের মৃত্যুর দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে গোটা দেশবাসী। দিনটি সরকারি ছুটি থাকে এবং নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়।

মুনিয়া রহমান জান্নাত
২য় বর্ষ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ

 

নশ্বর এ পৃথিবীতে তিনি অবিনশ্বর

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাংলার ইতিহাসে এক নৃশংস দিনের স্বাক্ষী এই আগষ্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্য । জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে সকল শহীদকে। একটি রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বাঙ্গালী জাতির প্রেরণার উৎস। যার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার যে ডাক দিয়েছিলেন তা ছিল অবিস্মরণীয়। সেদিন তাঁর বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার এই অবিস্মরণীয় ভাষণে বাঙ্গালী জাতি উদ্ভুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে এবং পরাধীন ও শোষিত দেশকে পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্ত করে। যার অবদানের জন্য আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। দেশ স্বাধীন  হলেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে চুড়ান্ত রূপরেখার প্রকাশ ঘটায়। এই হত্যা কান্ডের মধ্যে দিয়ে বাঙ্গালী হারায় তাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাকে। তিনি বেচে রইবেন ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে।

আবু হুরায়রা

২য় বর্ষ, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদ

 

লেখক- শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত