মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ পিরোজপুরে পৌঁছেছে। দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী প্রতিষ্ঠিত আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই জড়ো হচ্ছে তার ভক্তসহ সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ০৮মিনিটে সাঈদীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স সাঈদী ফাউন্ডেশনে পৌঁছায়। সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তাকে কবর দেওয়া হবে। এদিকে সাঈদীর লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পিরোজপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।
পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক বলেন, জোহরের নামাজ শেষে জানাজা সম্পন্ন করে বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে সাঈদীকে দাফন করা হবে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালেই সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তার কবর খোঁড়া হয়।
সাঈদীর মৃত্যুর খবরে সোমবার রাত থেকেই পিরোজপুর ও ইন্দুরকানিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ।পিরোজপুর শহর ও ইন্দুরকানির বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তার মৃত্যুর খবরে খুলনার বসুপাড়ায় দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে মরদেহ মাদ্রাসায় আনা এবং অসিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে দাফনের বিষয়ে আলোচনা হয়। জীবদ্দশায় সাঈদীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য এই মাদ্রাসায় নির্ধারিত স্থান রয়েছে। তবে খুলনা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করায় সেখানে নেওয়া হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।