বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ চুরি: ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা

মোঃ সোহেল রানা স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ চুরি: ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা
কামরখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমানের নিকট ল্যাপটপ তুলের দিচ্ছিল বাজার কামাটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া । ডান পাশের ছবিতে জামতৈল বাজারে ইসলামের দোকানে ল্যাবটপ বিক্রি করছে রাকিব ও শুভ।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, রাউটার, প্রজেক্টর সহ বিভিন্ন উপকরণ চুরি হয়। গত ৩ আগষ্ট রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় বড়পাকুরিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুনের বিরুদ্ধে রাকিব ও শুভর অভিভাবকদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে মর্মে ঐ এলাকাবাসী গত ১৪ আগষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) সকালে কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজুর রহমান ল্যাপটপটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে গত ৩ আগষ্ট রাতে বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, রাউটার, প্রজেক্টরসহ বেশকিছু সরঞ্জাম চুরি হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামারখন্দ থানায় একটি সাধারণ জিডি করেন। যাহার জিডি নম্বর-১৩৪। পরের দিন ৪ আগষ্ট জামতৈল বাজারে ইসলামের দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে বড়পাকুরিয়া এলাকার রাকিব ও শুভ নিয়ে আসলে দোকানদার ইসলাম আটক করে বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে অবগত করেন। পরে বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া রাকিব ও শুভর অভিভাবককে ডেকে এনে মালামাল উদ্ধার করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে ধামাচাপা দিতে রাকিব ও শুভর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও সরকারি প্রতিষ্ঠান এর চুরিকৃত মালামাল এর মধ্যে শুধুমাত্র ল্যাপটপটি উদ্ধার হয়েছে। অন্যান্য সরঞ্জামাদি এখনো উদ্ধার হয়নি।

এ বিষয়ে জামতৈল বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ল্যাপটপটি কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজ এর নিকট দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান পরে আমি জানতে পারলাম ল্যাপটপটি বড়পাকুরিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়ে গেছে।

কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ল্যাপটপটি উদ্ধার করে তাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু বলতে পারবো না। আপনারা থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজ ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যার এর সাথে কথা বলেন।

বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সব জানে।

কামারখন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমাকে ঐ স্কুল থেকে কোন কিছু জানাই নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ চুরি: ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা

বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ চুরি: ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা
কামরখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমানের নিকট ল্যাপটপ তুলের দিচ্ছিল বাজার কামাটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া । ডান পাশের ছবিতে জামতৈল বাজারে ইসলামের দোকানে ল্যাবটপ বিক্রি করছে রাকিব ও শুভ।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, রাউটার, প্রজেক্টর সহ বিভিন্ন উপকরণ চুরি হয়। গত ৩ আগষ্ট রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় বড়পাকুরিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুনের বিরুদ্ধে রাকিব ও শুভর অভিভাবকদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে মর্মে ঐ এলাকাবাসী গত ১৪ আগষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) সকালে কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজুর রহমান ল্যাপটপটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে গত ৩ আগষ্ট রাতে বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, রাউটার, প্রজেক্টরসহ বেশকিছু সরঞ্জাম চুরি হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামারখন্দ থানায় একটি সাধারণ জিডি করেন। যাহার জিডি নম্বর-১৩৪। পরের দিন ৪ আগষ্ট জামতৈল বাজারে ইসলামের দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে বড়পাকুরিয়া এলাকার রাকিব ও শুভ নিয়ে আসলে দোকানদার ইসলাম আটক করে বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে অবগত করেন। পরে বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া রাকিব ও শুভর অভিভাবককে ডেকে এনে মালামাল উদ্ধার করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে ধামাচাপা দিতে রাকিব ও শুভর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও সরকারি প্রতিষ্ঠান এর চুরিকৃত মালামাল এর মধ্যে শুধুমাত্র ল্যাপটপটি উদ্ধার হয়েছে। অন্যান্য সরঞ্জামাদি এখনো উদ্ধার হয়নি।

এ বিষয়ে জামতৈল বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ল্যাপটপটি কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজ এর নিকট দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান পরে আমি জানতে পারলাম ল্যাপটপটি বড়পাকুরিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়ে গেছে।

কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ল্যাপটপটি উদ্ধার করে তাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু বলতে পারবো না। আপনারা থানার সেকেন্ড অফিসার হাফিজ ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যার এর সাথে কথা বলেন।

বড়পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সব জানে।

কামারখন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমাকে ঐ স্কুল থেকে কোন কিছু জানাই নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত