এক রাস্তার পরিবর্তে অন্য রাস্তা খনন, যাতায়াতে দুর্ভোগ 

মোঃ সোহেল রানা স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
এক রাস্তার পরিবর্তে অন্য রাস্তা খনন, যাতায়াতে দুর্ভোগ 

সিরাজগঞ্জের রতনকান্দিতে রাস্তা রিপেয়ারিং এর নামে গজারিয়া-গোবিন্দপোটল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা খনন করে গা ঢাকা দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ গ্রামের সর্বস্তরের মানুষজন।

জানা যায়, ৭ মাস আগে অন্য এলাকার রাস্তার পরিবর্তে ভুলবশত অন্য রাস্তা খনন করে তা মেরামত না করে কাজ ফেলে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তা খননের পর থেকেই মানুষজনের তীব্র ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রতনকান্দির সড়াতৈল, খোলাবাড়ি, পোড়াবাড়ি, নারান্দিয়া, গোবিন্দপোটল, শ্যামপুর, চিলগাছা, ভেন্নাবাড়ি, একডালা, কুড়ালিয়া, বাহুকা, বিনয়পুরসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষজন রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে। হাটবাজারে পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌছানোর প্রধান মাধ্যম এই রাস্তাটি।

সড়াতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রত্যেকদিন রতনকান্দির বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এই রাস্তাটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অনেক শিক্ষার্থী হোচট খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

সড়াতৈল গ্রামের মুদি দোকানী কোরবান ও রবিউল জানান, রাস্তাটি এক বছর ধরে এরকমভাবে ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একনাগাড়ে ভ্যান, রিক্সা, ভটভটি, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও ২৫ গ্রামের মানুষসহ প্রত্যেকদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই কষ্ট হয়। বাহুকা ও ভেওয়ামারা বাজারে সপ্তাহে তিনটি হাট বসে। আর এই হাটের দিনে সবগ্রামের মানুষ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে।
সড়াতৈল গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম বলেন, ভালো রাস্তা খনন করে নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য প্রত্যেকদিন গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

খোলাবাড়ি গ্রামের ফজলুল ও আবুসাঈদ বলেন, ভালো রাস্তা নষ্ট করে জনগণকে এমন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে যা বলার মতো না। এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

ইউপি সদস্য রিপন মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন হলো রাস্তাটি এরকম বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যার কারণে ৬ নং ওয়ার্ডসহ রতনকান্দি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, কে বা কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি খনন করে রেখে গেছে তা জানা নেই। তবে যতটুকু শুনতে পেরেছি অন্য এলাকার রাস্তা রিপেয়ারিং না করে ভুলবশত এই ২ কিলোমিটার রাস্তা খনন করেছ রেখে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এক রাস্তার পরিবর্তে অন্য রাস্তা খনন, যাতায়াতে দুর্ভোগ 

এক রাস্তার পরিবর্তে অন্য রাস্তা খনন, যাতায়াতে দুর্ভোগ 

সিরাজগঞ্জের রতনকান্দিতে রাস্তা রিপেয়ারিং এর নামে গজারিয়া-গোবিন্দপোটল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা খনন করে গা ঢাকা দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ গ্রামের সর্বস্তরের মানুষজন।

জানা যায়, ৭ মাস আগে অন্য এলাকার রাস্তার পরিবর্তে ভুলবশত অন্য রাস্তা খনন করে তা মেরামত না করে কাজ ফেলে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তা খননের পর থেকেই মানুষজনের তীব্র ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রতনকান্দির সড়াতৈল, খোলাবাড়ি, পোড়াবাড়ি, নারান্দিয়া, গোবিন্দপোটল, শ্যামপুর, চিলগাছা, ভেন্নাবাড়ি, একডালা, কুড়ালিয়া, বাহুকা, বিনয়পুরসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষজন রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে। হাটবাজারে পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌছানোর প্রধান মাধ্যম এই রাস্তাটি।

সড়াতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রত্যেকদিন রতনকান্দির বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এই রাস্তাটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অনেক শিক্ষার্থী হোচট খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

সড়াতৈল গ্রামের মুদি দোকানী কোরবান ও রবিউল জানান, রাস্তাটি এক বছর ধরে এরকমভাবে ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একনাগাড়ে ভ্যান, রিক্সা, ভটভটি, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও ২৫ গ্রামের মানুষসহ প্রত্যেকদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই কষ্ট হয়। বাহুকা ও ভেওয়ামারা বাজারে সপ্তাহে তিনটি হাট বসে। আর এই হাটের দিনে সবগ্রামের মানুষ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে।
সড়াতৈল গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম বলেন, ভালো রাস্তা খনন করে নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য প্রত্যেকদিন গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

খোলাবাড়ি গ্রামের ফজলুল ও আবুসাঈদ বলেন, ভালো রাস্তা নষ্ট করে জনগণকে এমন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে যা বলার মতো না। এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

ইউপি সদস্য রিপন মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন হলো রাস্তাটি এরকম বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যার কারণে ৬ নং ওয়ার্ডসহ রতনকান্দি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, কে বা কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি খনন করে রেখে গেছে তা জানা নেই। তবে যতটুকু শুনতে পেরেছি অন্য এলাকার রাস্তা রিপেয়ারিং না করে ভুলবশত এই ২ কিলোমিটার রাস্তা খনন করেছ রেখে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত