লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সিরাজের বিরুদ্ধে জেলেদের অবগত না করে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পূর্বেই অফিসিয়াল কাজের কথা বলে কার্ডগুলো নিজের জিম্মায় রেখে বরাদ্ধকৃত চাউল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, হাজিরহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের গাল পোড়া মাইজ্জাগো বাড়ীর গেদু মিয়ার পুত্র মোস্তফা মিয়া, হানিফ ভান্ডারীর বাড়ী সংলগ্ন রশিদের বাড়ীর মোহাম্মদ উল্যার পুত্র আব্দুর রশিদ, ফোরকানিয়া সংলগ্ন মালেকের বাড়ীর আব্দুল খালেকের পুত্র আব্দুল মালেক এবং বেরকালাগো বাড়ীর তবি উল্যার পুত্র মো: ছিদ্দিক উল্যাহ জেলে কার্ড ইস্যু করে ইউপি সদস্য সিরাজ।
এই জেলে কার্ড ইস্যুর বিষয়টি তারা জানলেও ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার জেলে কার্ডের বিপরীতে ৩০ কেজি চাউল বিতরনের বিষয়টি জেলেরা জানতো না। পরে তারা জানতে পারে কার্ডের বিপরীতে চাউলও উত্তোলন করে ইউপি সদস্য সিরাজ তার সহযোগী মামুনের মাধ্যমে নিয়ে গেছে।এ ছাড়াও রানির বাড়ির বয়স্ক ভাতার বই লাইভ ভেরিফিকেশন নামে ফাতেমা ও জোসনা নামের বিধবা বই বাবদ ১৫০০টাকা করে ৩০০০টাকা চাইছে।তারা টাকা চাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছে ।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ সিরাজ বলেন, যারা এগুলো বলছে তারা আমার নামে মিথ্যা প্রচারণা করছে, আমি চালগুলো চৌকিদার মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।হাজিরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, আমি টনেটনে চাল বিতরন করি, চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নেই।আমি শুনেছি এরা চাল নিতে আসেনি। তার পরেও কারা কারা চাল পায়নি আমাকে জানান, আমি তাদেরকে চালের ব্যবস্থা করে দেব।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান, অভিযোগ কারীদের আমার কাছে আসতে বলেন,তারপর তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।