যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরে নদী তীরবর্তী এলাকায় যেমন ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তেমনি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চরের কৃষকরা। বসতভিটা ও রাস্তাঘাটে পানি ওঠায় দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭ সে.মি (বিপদসীমা-১২.৯০) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়ীতে পানি ওঠেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।
চৌহালীর বাসিন্দা আব্দুল লতিফ জানান, পানি বাড়ায় চৌহালীর ভুতের মোড় এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনে বসতভিটা ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষ। জায়গা না থাকায় জন্মভুমি ছেড়ে অন্য জেলায় চলে যাচ্ছে মানুষ।
এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামের হাফিজুল জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে বসতভিটায় পানি ওঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আর অনেক রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে। এছাড়াও ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন বসতভিটা বিলীন হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এবারও ভারী কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই। ভাঙ্গন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।