আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি না হলে, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে, ডিমের মতো আলু আমদানির জন্যও সরকারের কাছে সুপারিশ করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ড স্টোরেজ নামে একটি কোল্ড স্টোরেজে অভিযানে চালানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “আমরা স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছি। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। জনগণকে জিম্মি করে আলুর বাজার অস্থির করে মুনাফা করবেন, তা বরদাশত করা হবে না। আমরা আরও তিন-চার দিন দেখবো, তারপর আলু আমদানির জন্য সুপারিশ করবো।”
তিনি বলেন, “এই আরমান কোল্ড স্টোরেজে রাসেল নামে এক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত ২,৫০০ বস্তা এবং স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১২,০০০ বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রাখা আইনত অপরাধ এবং আলুর বাজার অস্থির করে রাখার একটা সুগভীর চক্রান্ত।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করা না হলে আলু পচে যাবে। তারপরও কেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে স্টোরে মজুত রেখেছেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
নির্ধারিত দামে আলু বিক্রিতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।