শনিবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠী ৫ হাজারেও বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব ও অন্যান্য শহরে। এসময় ইসরায়েলের জনসাধারণ প্রাণভয়ে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে এসে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছূটতে থাকেন। জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিক যুদ্ধের ঘোষণা দেন। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে হামাসের চলমান যুদ্ধ পুরো বিশ্বের জন্য ‘সতর্কবার্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলোত।
তিনি বলেন, যতদিন প্রয়োজন হবে তার দেশের জনগণ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। রোববার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ কোথাও যাচ্ছে না। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তারা শত বছর ধরে এবং প্রয়োজনে আরও ১০০ বছর লড়াই করে যাবেন।
এ সময় জুমলোত বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে এটা বুঝতে হবে যে, আন্তর্জাতিক আইনে ইসরায়েলকে যা ইচ্ছে তাই করতে দেওয়া এবং ফিলিস্তিন ইস্যুকে উপেক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করলে শান্তি আসবে না।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ঘটতে হবে এবং একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে; যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুর তাদের বাড়িঘর, সম্পত্তি, জমিতে ফিরে যাওয়ার নি:শর্ত অধিকার রয়েছে।’
এর আগে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড অবৈধভাবে ইসরায়েলের দখলে অব্যাহত রাখলে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে বলেও বেনজামিন নেতানিয়াহু সরকারকে আগে থেকেই সতর্ক করে দেওয়ার দাবি করেছেন একজন ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা। ওই সতর্কবার্তার পরও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার দখলদারিত্বের নীতিতে পরিবর্তন আনেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের বামপন্থী জোট হাদাশের সদস্য ওফার ক্যাসিফ। সূত্র: আলজাজিরা