ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিনা অপরাধে ফরমায়েসি রায়ে খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠিয়ে বিনা চিকিৎসা এবং ইচ্ছাকৃত ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। যে সরকার দেশনেত্রীর মৃত্যু চায় সেই সরকার তার সুচিৎসায় অন্যায়ভাবে বাধা দেবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু দেশবাসীর কাছে সরকারের এই মনোভাব ও আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আর তাই গণমানুষের প্রিয় নেত্রীকে প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্ছিত করে তার কোন ক্ষতি করা হলে সরকার অবশ্যই তীব্র গণরোষের শিকার হবে।
আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন তিনি।
এসময় মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না তার অনেক প্রমাণের অন্যতম হলো- প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশনেত্রীকে “টুস করে পদ্মার পানিতে ফেলে দেয়ার” ইচ্ছা প্রকাশ এবং সম্প্রতি “৮০ বছর বয়স হয়েছে, চলেই তো যাবে, এত কান্না কাটির কি আছে?” এমন কথা বলা। কোন দেশের সরকার প্রধান তো দূরের কথা কোন সভ্য, মানবিক, সুস্থ সাধারণ নাগরিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে এমন সন্ত্রাসীসুলভ কথা বলতে পারে না।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে তার চিকিৎসকবৃন্দের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে দেশবাসীর মতই বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী সদস্য, সমর্থকবৃন্দ উদ্বিঘ্ন। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি বিষেশজ্ঞ চিকিৎসকগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে দেশনেত্রীর জীবন রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে তার সুচিকিৎসা সম্ভব এমন কোন দেশে যাওয়ার পথে আরোপিত অমানবিক বাধা দূর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।