প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সিন্ডিকেটের সদস্য ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৭ কর্তা ব্যক্তির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান রোববার ঢাকার আদালতে এ আবেদন করেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন, এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ওইসব ব্যক্তির বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
যাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে তারা হলেন, নিউট্রিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিসেস অনামিকা মল্লিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহানন্দ তরুয়া, প্রোপ্রাইটার রামপ্রসাদ রায়,লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্তম কুমার মিস্ত্রি, দ্রিনান এ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু রাজীব মারুফ, ইমেক্সোর মালিক ইমাম হোসেন, লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পরিচালক রচনা মণ্ডল, উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পরিচালক সুকুমার সাহা, তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, আর্থস্কোপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রশান্ত দেউরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরা দেউরী, ওকায়ামা লিমিটেডের চেয়ারম্যান সুব্রত দাস, প্রতিষ্ঠানটির এমডি মো. তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক সুভ্রা রাণী ঘোষ, আর বি এন্টারপ্রাইজের মালিক রতন কুমার বিশ্বাস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি, তার বাবা ও পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি, পরিচালক নাসিম আনোয়ার, পরিচালক মো. নুরুজ্জামান, পরিচালক এম এ হাশেম, মোহাম্মদ আবুল হাসেম, পরিচালক জহিরুল আলম, পরিচালক নওশেরুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও পরিচালক মমতাজ বেগম, শওয়ালেস বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি মো. নুরুল আলম, রাহমান কেমিক্যাল লিমিডের পরিচালক রাজিব সোম এবং মুন এন্টারপ্রাইজের মালিক শঙ্খ ব্যাপারী।
উল্লেখ্য, আলোচিত পি কে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ৪৩টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ২২টি মামলা ও এফএএস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ১৩ মামলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা রয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।